বাঙালিরা স্ট্রিট ফুড নামে পরিচিত খাবার খেতে পছন্দ করে। অল্প দাম, সহজলভ্য, মুখরোচক হওয়ায় স্ট্রিট ফুডের জনপ্রিয়তা মুখ্য কারণ। অন্যদিকে, অল্প পুঁজির ব্যবসা কার্যক্রম বলে মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য এই ব্যবসার প্রতি ঝুঁকছে।
স্ট্রিট ফুডের কদর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাঙালিদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ছে দিন দিন। ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর খাবার ডেকে আনছে বিপদ। ডায়রিয়া, বদহজম, লিভারের অসুখ, কিডনির অসুস্থতাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়াচ্ছে। দোকানগুলোতে পোর্টেবল ওয়াটারের পরিবর্তে ব্যবহার হয় সাধারণ লাইনের পানি; ফলে টাইফয়েডের মতো ভয়ানক সব অসুখের মাত্রা বেড়ে চলেছে। এসব খাবার দোকানিরা হাতে গ্লাভস না পরেই খাবার আদান-প্রদানসহ টাকাপয়সা লেনদেন করে থাকেন। টাকাপয়সা বিভিন্ন রোগজীবাণুর বাহক। আবার একই থালাবাসন বারবার ব্যবহারের ফলে এইডস, হেপাটাইটিস, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। তারা খাবার গরম করে পুনরায় পরিবেশন করে, কিন্তু এভাবে খাবারের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। একইসঙ্গে একই তেল বারবার ব্যবহার করায় ভোক্তাদের ফুড পয়জনিংসহ মারাত্মক রোগে ভুগতে হয়। অন্যদিকে, ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য খাবারগুলো খোলা রাখা হয়। এর ফলে খাবার দূষিত হচ্ছে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস ও ভাইরাস দ্বারা; সঙ্গে ধুলাবালি তো আছেই।
খাবারের দোকানের লোকেরা জানেনই না কীভাবে খাবার সংরক্ষণ, প্রস্তুত ও বিপণন করতে হয়। তাদের ফুড সেইফটি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই—তারা এ ব্যাপারে পুরোপুরি অজ্ঞ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খাবার প্রস্তুত, সরবরাহ, সংরক্ষণ, স্টল পরিচালনা করতে সচেতন ও সুদক্ষ করে তোলার জন্য বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপদ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
-সংগৃহীত ।