♦ খেজুরের রস ডেকে আনছে বিপদ ♦
খেজুরের রস ডেকে আনছে বিপদ। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। শীতকালে রস উৎসব, অনলাইনে রস বিক্রির ফলে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী এ রোগ। তাই খেজুরের রস পান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষক ও চিকিৎসকরা।
"বাদুড়ের মূত্র বা লালার মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায়।"
বাদুড় যখন খেজুরের রস খায়, তখন তার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায়। মানুষ সেই রস কাঁচা খেলে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তারপর আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে তার পরিবারের সদস্য ও পরিচিতরা আক্রান্ত হয়। তাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীরাও আক্রান্ত হতে পারেন।
*** কাঁচা খেজুরের রস ও অর্ধেক খাওয়া ফল খাওয়া যাবে না।
*** অনলাইনে নিরাপদ, ফুটানো এরকম নানা ধরনের চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে খেজুরের রস। এতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে নিপাহ আক্রান্ত রোগী।
খেজুরের রস গুড় বানিয়ে খাওয়া যাবে। খেজুরের রস ছাড়াও বিভিন্ন ফলের মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে। আমরা যেসব ফল বা সবজি না ছিলে খাই, যেমন- টমেটো, বরই, পেয়ারা, স্ট্রবেরি সেগুলো অবশ্যই সাবান দিয়ে ধুয়ে খেতে হবে। আর যেসব ফল ছিলে খাই, সেগুলো পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে খেতে হবে। বাদুড় খেয়েছে এমন কোনো ফল খাওয়া যাবে না।
প্রথমবারের মতো নরসিংদী জেলায় সংক্রমণ ঘটেছে। এ রোগের কোনো প্রতিষেধক নেই, তাই মানুষের কাছে এর তথ্যগুলো পৌঁছে দিতে হবে। নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তাই দ্রুত শনাক্ত হলেই বেঁচে যাবেন তা বলা কঠিন। আর যারা বেঁচে যান তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না, পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। রস উৎসব করে নিপাহ ভাইরাসকে দাওয়াত দেওয়া উচিত নয়। তীব্র মাথাব্যথা, জ্বর, খিঁচুনি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
-সংগৃহীত ।