আপনি কি পাসপোর্ট প্রসেসিং, টিকেটিং, ভ্রমণ ভিসা / মেডিক্যাল ভিসার মাধ্যমে সৌদি / ভারতে যেতে চান ? ভারতের বিখ্যাত ডাক্তারদের এপয়েনমেন্ট চান ? আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ +88 01711 898858

কিডনি রোগ ছাড়াও যেসব সমস্যায় মুখ ফোলে যায়

 


অনেক সময় মনে হয়, মুখটা ফুলে গেছে। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকের কাছে মুখটা ফোলা লাগে। নানা কারণেই এমন হতে পারে। মুখ ফুললে প্রথমেই আশঙ্কা হয়, কিডনি রোগ হলো কি না। যদি এর সঙ্গে পায়ে পানি আসা, দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ, অরুচি, প্রস্রাবে ফেনা, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন, ব্যথার ওষুধ খাওয়ার ইতিহাস থাকে, তাহলে কিডনির কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে। নেফ্রোটিক সিনড্রোম, নেফ্রাইটিস বা কিডনি ফেইলিউরের রোগীদের মুখ ফুলতে পারে।

 

আরেকটি সাধারণ কারণ হলো স্টেরয়েড সেবন। বহুদিন ধরে স্টেরয়েড খেলে মুখ আস্তে আস্তে ফুলে গোলাকার হয়ে যায়। একে মুন ফেস বা চাঁদমুখ বলে। কবিরাজি, হারবাল ইত্যাদি ওষুধে স্টেরয়েড থাকে। আবার অনেকে অ্যালার্জি, ব্যথা-বেদনা, শ্বাসকষ্টের নিরাময়ের জন্য না বুঝেই দোকানদারের পরামর্শে স্টেরয়েড সেবন করেন। স্টেরয়েড খেলে মুখ, পেট ফোলে কিন্তু হাত-পা তুলনামূলক চিকন হয়ে যায়। এই সমস্যাকে মেডিকেলের ভাষায় বলে কুশিং সিনড্রোম। অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে বেশি কর্টিসল হরমোন তৈরি হলেও এ অবস্থা হতে পারে। 


যদি হঠাৎ করে মুখ-চোখ-ঠোঁট ফুলে যায়, সঙ্গে গলায় চুলকানি, চামড়ায় অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্ট থাকে, তাহলে এটা মারাত্মক অ্যানাফিল্যাকটিক শক হতে পারে। এতে রোগীর রক্তচাপ কমে গিয়ে প্রাণনাশ পর্যন্ত হতে পারে। হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হলে মৃত্যু হতে পারে। সাধারণত কোনো খাবার, ওষুধ বা ইনজেকশন, রক্তসঞ্চালন বা বস্তুর সংস্পর্শে রোগীর অ্যালার্জি থাকার কারণে এটা হয়ে থাকে। দ্রুত অ্যাড্রিনালিন, স্টেরয়েড, অ্যান্টিহিস্টামিন ইনজেকশন, অক্সিজেন, বিটা অ্যাগোনিস্ট, শিরায় স্যালাইন দিয়েও যদি রক্তচাপ না বাড়ে, তাহলে আইসিইউতে ভর্তি করতে হবে। 


ঘুম না হলে অনেক সময় চোখের নিচ ফোলা মনে হয়। সকালবেলা চোখের চারপাশে ফোলা ভাব অনেক সময় বরফ ঘষলে দূর হয়ে যায়। 


চোখের নিচের পাতায় ফোলাভাব হলে লবণ খাওয়া কমান, পর্যাপ্ত ঘুমান। তবে হাইপোথাইরয়েডিজমের রোগীদেরও মুখ ফোলা লাগে। হাইপোথাইরয়েডিজমের রোগীদের হাত-পা ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাসিকে বেশি রক্তক্ষরণ, স্মরণশক্তি হ্রাস, নাড়ির গতি কম থাকা, পা ফোলা, বেশি ঘুম পাওয়া, ত্বকের শুষ্কতা বা চুল পড়ে যাওয়ার লক্ষণ থাকে। 


তবে যে কারণেই মুখ ফোলা হোক, নির্ণয়ের জন্য একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

-সংগৃহীত ।

সিজার পরবর্তী সময়ে নরমাল ডেলিভারি, কখন সম্ভব?



আমাদের দেশে অনেকেরই ধারণা একবার সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি হলে পরবর্তী প্রতিটি প্রেগনেন্সিতে সিজার করার দরকার হয়। ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব অবস্ট্রেশিয়ান অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টের গাইডলাইন অনুযায়ী সিজারিয়ান ডেলিভারির পরও ৭৫-৮০ ভাগ মা পরবর্তী প্রেগনেন্সিতে নরমাল ভেজাইনাল ডেলিভারি করানোর জন্য উপযুক্ত থাকেন। 


এদের মধ্যে ৬০-৭৫ ভাগ মায়ের কোনো সমস্যা ছাড়াই সফলভাবে নরমাল ভেজাইনাল ডেলিভারি সম্ভব হয়। কিন্তু ডেলিভারি ট্রায়াল দেওয়ার আগে দেখতে হবে কোন কোন মা এই ডেলিভারির জন্য উপযুক্ত। তাই আগের সিজার সম্পর্কে জানতে হবে। 


যেমন-

আগের সিজারের সংখ্যাঃ 

যাদের আগে একটি সিজার হয়েছে, তারাই কেবল পরের প্রেগন্যান্সিতে ভেজাইনাল ডেলিভারি ট্রায়াল দিতে পারে।


কী কারণে হয়েছিলঃ

সিজার এমন কিছু কারণে হয়েছিল যা পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা কম যেমন- বাচ্চার অ্যাবনরমাল পজিশনের কারণে সিজার হলে কিংবা বাচ্চা বা মায়ের কোনো সমস্যার কারণে সিজার হলে যা বর্তমান প্রেগনেন্সিতে অনুপস্থিত।


আগে সিজারের স্থানটি কতখানি মজবুত আছেঃ

Lower uterine caessarean section বা LUCS (জরায়ুর নিচের অংশে সেলাই) এর ক্ষেত্রেই কেবল পরবর্তীতে ভেজাইনাল ডেলিভারি ট্রায়াল দেওয়ার সুযোগ থাকে, এক্ষেত্রে আগের সেলাই ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা প্রতি ২০০ জনে একজনের। 


অন্যদিকে ক্লাসিক্যাল সিজারের ক্ষেত্রে সেলাই ফাটার হার ১.৫%। দুই প্রেগনেন্সির মধ্যে অন্তত দুই বছরের গ্যাপ থাকা ভালো হয়। আগের প্রেগনেন্সিতে প্লাসেন্টা প্রিভিয়া থাকলে বা সিজারের পর ইনফেকশন হলে সেলাইয়ের স্থানটি দুর্বল করে ফেলে যা পরে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।


এ ছাড়া বর্তমান প্রেগনেন্সিতে মায়ের অন্য কোনো জটিলতা যেমন উচ্চরক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে তাকে নরমাল ভেজাইনাল ডেলিভারি ট্রায়ালের জন্য উপযুক্ত ধরা হয় না। বাচ্চার ওজন চার কেজির কম থাকা এবং প্রসবের রাস্তা যথেষ্ট প্রশস্ত থাকাও ভেজাইনাল ডেলিভারির একটি পূর্ব শর্ত। সবকিছু ঠিক থাকলে এই ডেলিভারির সুবিধা-অসুবিধা মা ও অভিভাবকদের অবহিত করতে হবে। 


ডেলিভারি এমন হসপিটালে ট্রায়াল দিতে হবে যেখানে ইমার্জেন্সি সিজার করার দরকার হলে তা দ্রুত এরেঞ্জ করা সম্ভব। বাচ্চা এবং মায়ের নিবিড় পর্যবেক্ষণ করাটা এক্ষেত্রে জরুরি বিষয়। উন্নত দেশে লেবারের সময়   CTG (cardio-tocograph) মেশিনের মাধ্যমে বাচ্চাকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হয়। ২০ থেকে ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে ভেজাইনাল ডেলিভারি সম্ভব হয় না এবং ইমার্জেন্সি সিজারের দরকার হয়। এই ডেলিভারির সময় সঠিক মনিটরিং না হলে মা ও বাচ্চার জটিলতার হার বেড়ে যায়। 


অপরদিকে সফল ভেজাইনাল ডেলিভারির মাধ্যমে শরীরে বাড়তি অস্ত্রোপচার এড়ানো যায়। শরীরে অস্ত্রোপচারের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টিস্যু এডহেশন এবং টিস্যু ইনজুরির সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং এ ডেলিভারির অস্ত্রোপচারজনিত সব রিস্ক থেকে মুক্ত। কিন্তু আমাদের দেশে বেশির ভাগ হাসপাতালে এ ধরনের ডেলিভারি করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়, এর কারণ দক্ষ লোকবলের অভাব, মা ও বাচ্চার মনিটরিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অপ্রতুলটা এবং ভেজাইনাল ডেলিভারিতে মায়েদের ভীতি।

-সংগৃহীত ।

Popular Posts

Search This Blog