বৈষম্য এবং প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এগিয়ে যাওয়া ৭ অদম্য নারী পেয়েছেন আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২২। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সমাজকল্যাণ, উদ্যোক্তা, কভিড হিরো-এই পাঁচটি বিভাগে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়েছে তাদের সাহসী মনোভাব এবং সমাজে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার অনন্য উদ্যোগের ভিত্তিতে।
রাজধানীর বসুন্ধরায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে পাঁচটি বিভাগে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন। বিজয়ীদের প্রত্যেককে প্রাইজমানি হিসেবে দুই লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
সারা দেশে, এমনকি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এমন অনেক নারী আছেন যারা আমাদের সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত, নানা বৈষম্য, অন্যায় আর প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ে চলেছেন নিভৃতে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া এই মহীয়সী নারীদের ও তাদের অবদানকে আলোয় আনতে ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর আইপিডিসি ফাইন্যান্স ও দ্য ডেইলি স্টার আয়োজন করে আসছে ‘আনসাংওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড’। তারই ধারাবাহিকতায় এবার অনুষ্ঠিত হলো এই আয়োজনের ৬ষ্ঠ সংস্করণ।
টিপু মুনশি বলেন, আমাদের সমাজের সংগ্রামী নারীদের সংগ্রামকে সবার সামনে তুলে ধরার এই প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে। সততা ও কর্মদক্ষতায় আমাদের নারীরা পুরুষের চেয়ে কোনো অংশে কম নন, বরং নারীকে তার যোগ্যতা প্রমাণ করতে মুখোমুখি হতে হয় নানা সামাজিক প্রতিকূলতার। আর এটা করতে গিয়েই আমাদের নারীরা সমাজে রেখে যান সাহসী পদচিহ্ন ও ইতিবাচক প্রভাব। আমি চাই, আমাদের সম্মানিত ও সংগ্রামী এই নারীদের গল্প দেশের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে পড়ুক। কারণ, এ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এমন আরও হাজারো সাহসী গল্প জন্ম নেবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মমিনুল ইসলাম বলেন, সামাজিক পরিবর্তনে যে অনন্য-সাধারণ ভূমিকা রাখা নারীদের সম্মান জানাতে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক এক অর্জন। আইপিডিসি, পথচলার শুরু থেকেই দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষের কল্যাণে, বিশেষ করে নারী ক্ষমতায়নে কাজ করে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড সেই প্রচেষ্টারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
-সংগৃহীত ।
