মানবজীবনে প্রত্যেক মানুষের জন্য পারিবারিক শিক্ষা অতি গুরুত্বপূর্ণ। নানাবিধ চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন করতে পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম। ভদ্রতা, নৈতিকতা, দায়িত্বশীলতা, কৃতজ্ঞতাবোধ শেখা, বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান প্রদর্শন, কনিষ্ঠদের স্নেহ-আদর করা, অন্যের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করা, পরোপকারিতার মানসিকতা গড়ে তোলা, উদার মানসিকতাবোধ জাগ্রত করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যতটা না অর্জন করা যায়, তার চেয়ে বেশি পরিবার থেকে অর্জন করা যায়।
একটি আদর্শ পরিবারে অন্যতম কার্যাবলি হলো পরিবারের সকলে মিলেমিশে একত্রে বাস করা। আর এ কাজটাই একটি আদর্শ পরিবার থাকে। পরিবারের সবাই একটি নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা মধ্যে বাস করে। তারা বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজ হতে নিজেদের বিরত রাখে এবং শান্তিতে বসবাস করে। পরিবারের কারও বিপদে পরিবারের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ তাকে মানসিকভাবে সাহায্য করে। ফলে সে তার বিপদ হতে দ্রুত সেরে উঠতে পারে। একটি আদর্শ পরিবারের লোকজন সর্বদা একে অন্যের প্রতি সহযোগী মনোভাব প্রকাশ করে। কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্যের কমতে থাকে না। পরিবারের কেউ ভুল কাজ করে থাকলে তাকে শাস্তি না দিয়ে বোঝানোর মাধ্যমে ক্ষমা করে দেওয়ার মনোভাব একটি আদর্শ পরিবার এর অন্যতম কার্যাবলি। এই আধুনিক যুগে সবাই এখন যন্ত্র হয়ে গেছে কিন্তু একটি আদর্শ পরিবার এ ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যাবলি পরিবারের সব সদস্য একে অন্যকে যথেষ্ট পরিমাণ সময় দেয়।
পারিবারিক বন্ধন ভেঙে যাচ্ছে বলেই আমাদের সামাজিক নানা সমস্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। বাড়ছে অস্থিরতা। ধর্মীয় বিধানেও রক্তের সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখার ওপর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
আজকের এই আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য অক্ষুণ্ন থাকুক-প্রতিটি পরিবারে বিরাজ করুণ অনাবিল সুখ শান্তি।