কেন হয় ও কীভাবে ছড়ায়ঃ-
কক্সেকি নামের একধরনের ভাইরাসের কারণে মূলত এ রোগ হয়। এতে আক্রান্ত শিশুর নাকের পানি, লালা, ফোসকা ফাটা পানি, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে, এমনকি আক্রান্ত শিশুর পায়খানার মাধ্যমেও অন্যরা সংক্রমিত হতে পারে। ভাইরাসটি শিশুর শরীরে প্রবেশের চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ দেখা যায়। এ ছাড়া খেলনা বা দরজার নব বা অন্য আসবাবেও ভাইরাস অবস্থান করতে পারে এবং এগুলো কেউ স্পর্শ করলেও সে আক্রান্ত হতে পারে।
যেসব জায়গায় জনসমাগম বেশি, যেমন স্কুলে একটি শিশু আক্রান্ত হলে তার কাছ থেকে এ ভাইরাস অতি দ্রুত অন্য অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কেউ আক্রান্ত হলে প্রথম সপ্তাহেই ভাইরাসটি অন্যের মধ্যে বেশি ছড়ায়।
জটিলতাঃ-
=> তেমন কোনো মারাত্মক জটিলতা না থাকলেও মুখে ও গলায় ব্যথা, খেতে না পারার কারণে কখনো কখনো শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি হতে পারে।
=> খুবই কম হলেও কখনো কখনো এই ভাইরাস মস্তিষ্কে প্রবেশ করে সংক্রমণ করতে পারে।
=> এ ছাড়া অনেক সময় হাত বা পায়ের আঙুলের নখ পড়ে যেতে পারে, যা অবশ্য অল্প দিনের মধ্যে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।
চিকিৎসাঃ-
=> বিশেষ কোনো চিকিৎসা নেই বা তার দরকারও নেই। সাধারণত ৭-১০ দিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।
=> স্বাভাবিক পরিচর্যা, খাবার, বিশেষ করে পানি বা পানীয় পর্যাপ্ত দিতে হবে, যাতে প্রস্রাব ঠিকমতো হয়।
=> ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে ফলের রস মুখের ব্যথা বাড়াতে পারে।
=> জ্বর থাকলে নির্দিষ্ট মাত্রার প্যারাসিটামল দেওয়া যাবে, তবে অ্যাসপিরিন দেওয়া ঠিক হবে না। এর বাইরে কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল বা অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধের কোনো ভূমিকা নেই এবং অহেতুক এগুলো দেওয়ার দরকার নেই।
প্রতিরোধঃ-
=> শিশুদের বারবার ভালো করে হাত ধোয়া শেখাতে হবে।
=> হাঁচি-কাশির শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।
=> ঘর, ঘরের মেঝে, খেলনা পরিষ্কার রাখতে হবে।
=> মুখের ভেতর হাত ঢোকানোর অভ্যাস দূর করতে হবে।
=> ভিড়ভাট্টা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা ভালো।
-সংগৃহীত ।
