*** শিশুরা দেশের সবচাইতে মূল্যবান সম্পদ, কেন না তাদের হাত ধরেই আসবে সমষ্টিগত উন্নয়ন। শিশুর উন্নয়ন ও শিশু সুরক্ষায় সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও উদ্যোগের পরও শিশুর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব হয়নি। শিশুর পরিপূর্ণ সুরক্ষায় শুধু আইন পর্যাপ্ত নয়, আইন বাস্তবায়নে প্রয়োজন সচেতন জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস পালন করে থাকে। এ বছর ৩রা অক্টোবর সোমবার সারা দেশে পালিত হয়েছে বিশ্ব শিশু দিবস। একইসঙ্গে শিশুর অধিকার, সুরক্ষা এবং শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিকতর উদ্যোগী ও সচেতন করার লক্ষ্যে ৪ থেকে ১১ই অক্টোবর পর্যন্ত পালন করা হচ্ছে শিশু অধিকার সপ্তাহ। বিশ্ব শিশু দিবস ২০২২ এর প্রতিপাদ্য ‘গড়বে শিশু সোনার দেশ, ছড়িয়ে দিয়ে আলোর রেশ’
বাংলাদেশ সরকার ছাড়াও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা শিশুশ্রম রোধে নানা কার্যক্রম অব্যাহত রাখলেও শিশুশ্রম কমছে না। শিশুশ্রম বন্ধের লড়াইয়ে আমরা যেন হারতে বসেছি। করোনার ভয়াল থাবার পরপরই অনিয়ন্ত্রিত বাজারমূল্য আমাদের অনেক পেছনে ঠেলে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশে প্রায় ৪৭ লাখ শিশুশ্রমিক রয়েছে, যার মধ্যে ১৯ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত, যা তাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও নৈতিকতার জন্য ক্ষতিকারক।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শিশু অধিকার সনদে মূলনীতি হিসেবে ১. বৈষম্যহীনতা, ২. শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা, ৩. শিশুর অধিকার সমুন্নত রাখতে অভিভাবকদের দায়িত্ব এবং ৪. ‘শিশুদের মতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন’-এর কথা উল্লেখ থাকলেও বাংলাদেশে এর যথাযথ প্রয়োগ নেই বললেই চলে। মজার ব্যাপার হলো, একই ছাদের নিচে বাড়িওয়ালার শিশুসন্তানরা যখন ঘুমকাতুরে হয়ে সকাল ১০টায় বিছানা ছেড়ে ওঠে, একই বয়সী শিশু গৃহকর্মীকে সেখানে কাকভোরে উঠে রুটিনমাফিক ভারী কাজে মনোনিবেশ করতে হয়! নিয়মিত কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হলেও কোনো দিন কোনো বাড়তি প্রশংসা জোটে না। আবার কোনো ত্রুটি ঘটে গেলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে হয় তাদের। শিশু অধিকার সনদ কাদের জন্য?
-সংগৃহীত ।
