25/01/2023

শহরে কিডনি রোগী বেশি কেন, প্রতিকারের উপায়


বাংলাদেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জীবন পদ্ধতির বদল, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, অতিরিক্ত ওজন, বেশিক্ষণ বসে কাজ করাসহ নানা কারণে কিডনি রোগ বাড়ছে। কিডনি রোগে আক্রান্তের হার গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি।

শহরে কিডনি আক্রান্তের হার বেশির হওয়ার প্রধান কারণ বায়ু ও শব্দদূষণ। শহরের মানুষ অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খান। বিপরীতে পর্যাপ্ত শরীর চর্চার সুযোগ থাকে না। শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতাও বেশি, যেগুলো কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তবে গ্রামে যে কিডনি রোগ নেই, তেমনটি ভাবার সুযোগ নেই।

এসবের পাশাপাশি অতিরিক্ত ওষুধ সেবন, সামান্য কারণেও অ্যান্টিবায়োটিক সেবন কিডনির রোগকে উস্কে দেয়।


কিডনি রোগ কিভাবে বুঝবেনঃ-

প্রাথমিকভাবে প্রসাবের মাধ্যমে প্রোটিন বেরিয়ে যাওয়া শুরু করলে বুঝতে হবে আপনি কিডনি রোগের প্রাথমিক স্টেজে আছেন। এরপর ওজন ও রক্তচাপ মাপা, প্রসাব পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও সিরাম ক্রিটিনিন (কিডনির রক্ত পরীক্ষা) টেস্ট করার মাধ্যমে সহজেই কিডনি সুস্থ নাকি অসুস্থ তা শনাক্ত করা সম্ভব। সবগুলো টেস্ট হাতের কাছেই পাবেন। বছরে হাজার টাকার মতো খরচ করে কিডনি বিষয়ে জেনে নিতে হবে।


কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয়ঃ-

=> কিডনি রোগের ঝুঁকির কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। দীর্ঘদিন যারা এসব ধরে আক্রান্ত, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।


=> নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।


=> চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক কেন, কোনো ধরনের ওষুধ সেবন করা যাবে না।


=> নেফ্রাইটিস থাকলে চিকিৎসা করাতে হবে।


=> ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।


=> কায়িক পরিশ্রম বাড়ানো ও নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে।


=> অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

-সংগৃহীত ।

সিজার পরবর্তী সময়ে নরমাল ডেলিভারি, কখন সম্ভব?

আমাদের দেশে অনেকেরই ধারণা একবার সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি হলে পরবর্তী প্রতিটি প্রেগনেন্সিতে সিজার করার দরকার হয়। ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব অবস...