বর্ণে-গন্ধে ও খেতে সুস্বাদু-সুমিষ্ট এবং গুণমান ভালো হওয়ায় দেশের অন্যতম সেরা নওগাঁর আম্রপালি। সারা দেশে সুনাম কুড়িয়ে এই আমের ব্যাপক সুনাম ছড়িয়েছে বিদেশেও। তাই এই আমকে ব্র্যান্ডিং হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি জিআই স্বীকৃতির দাবি উঠেছে।
নওগাঁর বদলগাছী, ধামইরহাট, মান্দা উপজেলায় আম্রপালি চাষ করা হলেও বরেন্দ্রের সাপাহার, পোরশা, পত্নীতলা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় প্রায় ৯০ ভাগ জমিতে এই আম চাষ করা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম চাষে উৎপাদনে এগিয়ে রয়েছে সীমান্তবর্তী এই জেলা। জেলায় বিভিন্ন জাতের আম চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি চাষ হয় আম্রপালি।
বর্তমানে চলছে আম্রপালি আমের ভরা মৌসুম। সাপাহারে চাষিরা প্রতিদিন বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে ভ্যান, ভটভটি ও অটোরিকশায় করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে এ বাজারে। প্রতিদিন ভোর থেকেই শুরু হয় আম বেচাকেনা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা আম কিনতে আসেন এই বাজারে। এখানে যত আম কেনাবেচা হচ্ছে তার মধ্যে প্রায় ৯৫ ভাগই আম্রপালি জাতের। আম্রপালি প্রকারভেদে ২ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা মণ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ুর বিশেষত্বের কারণে দেশের অন্য অঞ্চলের তুলনায় নওগাঁর আম অনেক সুস্বাদু হয়। নওগাঁয় সবচেয়ে আম্রপালি, বারি-৪, ব্যানানা ম্যাংগো বেশি চাষ হয়। সাপাহার ও পোরশা উপজেলার আম্রপালির সঙ্গে দেশের কোনো আম্রপালি আমের তুলনা হয় না। এর স্বাদ ও গুণমানের দিক থেকে যে কোনো আমের চেয়ে ভালো হওয়ার কারণে কৃষকরা আম্রপালি আম চাষে বেশি ঝুঁকছেন। জেলায় প্রায় ৭০ ভাগ জমিতে আম্রপালি আম চাষ করা হয়েছে। এ অঞ্চলের নওগাঁর ব্র্যান্ড এরপর পাশাপাশি আম্রপালিকে জিআই পণ্য হিসেবে গণ্য করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি এটা নিয়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
-সংগৃহীত ।