আপনি কি পাসপোর্ট প্রসেসিং, টিকেটিং, ভ্রমণ ভিসা / মেডিক্যাল ভিসার মাধ্যমে সৌদি / ভারতে যেতে চান ? ভারতের বিখ্যাত ডাক্তারদের এপয়েনমেন্ট চান ? আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ +88 01711 898858

শিশুর স্মার্টফোন আসক্তি কমাবেন যেভাবে


এখনকার শিশু স্মার্টযন্ত্র ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে  একসময় পর্দায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এ জন্য মা-বাবাও অনেকখানি দায়ী। নিজেদের ব্যস্ততার সময়ে হয়তো চিন্তাভাবনা না করেই শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্মার্টফোন। দিনে দিনে সেই যন্ত্রই হয়ে উঠেছে শিশুটির বন্ধু। স্মার্টফোন ছাড়া তার আর চলেই না। 

সন্তান যেন স্মার্টফোনের নেশায় না ডুবে যায়, সে জন্য মেনে চলুন এই বিষয়গুলো—    

শুরুতেই ব্যবস্থা নিনঃ-

শিশুদের স্মার্টযন্ত্রের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে শুরু থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সন্তান খেতে না চাইলে বা কোনো কাজ না করতে চাইলে হুটহাট স্মার্টফোন দিয়ে বসবেন না। বরং তাদের আপনি সময় দিন, বুঝিয়ে বলে কাজটি করানোর চেষ্টা করুন।


কথা বলুনঃ-

নিজেদের ব্যস্ততার কারণে সন্তানের হাতে স্মার্টফোন দেবেন না। যত ব্যস্ততাই থাকুক, সময় করে শিশুর সঙ্গে কথা বলুন, গল্প করুন। এতে যেমন আপনার সঙ্গে সন্তানের হৃদ্যতা বাড়বে, তেমনই ভালো সময়ও কাটবে।


স্মার্টফোন রাখুন নাগালেই বাইরে ঃ-

শিশুদের নাগালের মধ্যে স্মার্টফোন রাখবেন না। অনেক সময় আপনার সাহায্য ছাড়াই শিশুটি স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করবে। এভাবেই একসময় তাঁর আসক্তিতে পরিণত হবে।


উপহার হিসেবে স্মার্টফোন নয়ঃ-

অনেক অভিভাবকই সন্তানকে কোনো কাজের প্রণোদনা হিসেবে স্মার্টফোন উপহার দিতে চান। এতে শিশুটি নিজের কাজে মনোযোগী হয় ঠিকই, তবে ভবিষ্যতে শিশুটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। একবার উপহার হিসেবে স্মার্টযন্ত্র পেলে পরবর্তী সময়ে যেকোনো কাজের জন্যই উপহার হিসেবে এমন যন্ত্র প্রত্যাশা করবে। সে ক্ষেত্রে উপহার মনের মতো না হলে শিশুটি হতাশাগ্রস্ত হতে পারে।


সময় বেঁধে দিনঃ-

এই সময়ে প্রযুক্তি থেকে শিশুদের দূরে রাখা বাস্তবসম্মত নয়। দক্ষ করে গড়ে তুলতেও শিশুদের স্মার্টযন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত। কার্টুন দেখা, গেম খেলা—শিশুদের খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি কাজে তাকে সময় বেঁধে দিন। সময় শেষে তাকে বুঝিয়ে যন্ত্রটি সরিয়ে আনুন। এতে তার মধ্যে যেমন সময়ানুবর্তিতা তৈরি হবে, তেমনি পর্দার প্রতি আসক্তিও কমে আসবে।


উদাহরণ তৈরি করুনঃ-

শিশুরা তার মা-বাবাসহ আশপাশের মানুষের কাছ থেকে শেখে। মা-বাবার স্মার্টফোন আসক্তি থেকে সন্তানের মধ্যেও সেই আসক্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই সন্তানের সামনে প্রয়োজন ছাড়া স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না।

-সংগৃহীত ।

Popular Posts

Search This Blog