কোনো শিশুর শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে বয়স অনুপাতে ওজন বেশি হয়ে গেলে, তাকে স্থূলকায় বলা যায়। বৈজ্ঞানিকভাবে শিশুর শরীরের ওজন এবং তার উচ্চতার একটা আনুপাতিক হিসাব করে স্থূলতা সঠিকভাবে নির্ণয় করা হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীর একটু ভারী হবে, মেদ জমবে, স্থূল হয়ে যাবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু শিশুদের ঝরঝরে পাতলা ছুটন্ত শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা, মুটিয়ে যাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া মোটেও স্বাভাবিক নয়। শিশুদের স্থূলতা প্রতিরোধে অভিভাবকদের কিছু নিয়ম মেনে চললেই প্রতিরোধ করা যেতে পারে স্থূলতার সমস্যা।
স্থূলতা প্রতিরোধে জেনে নিন কিছু নিয়মঃ-
=> স্বাস্থ্যকর ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে শিশুকে সচেতন করা।
=> খাদ্য তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে তাজা শাকসবজি ও ফলমূল রাখতে হবে।
=> দৈনিক খাবারের সময় নির্ধারণ করে বাসার সবাই যতটা সম্ভব একসঙ্গে বসে খাওয়ার অনুশীলন করা।
=> জোর করে না খাওয়ানো। মুঠোফোন, টেলিভিশন দেখিয়ে খাওয়ানোর অনুশীলন বন্ধ করতে হবে। শিশুরা ক্ষুধার্ত হলেই শুধু খাবার দিতে হবে।
=> ছয় মাস বয়স থেকে পরিবারের স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে, যার মধ্যে অবশ্যই শাকসবজি, ফলমূল থাকবে। ভাত, আলু, মিষ্টি কম খেতে দিতে হবে, যদি শিশুর ওজন বেড়ে যেতে থাকে। ফাস্টফুড, কোমলপানীয়, চকলেট, আইসক্রিম কম খেতে দিতে হবে।
=> শিশুকে সব সময় খাইয়ে না দিয়ে নিজে নিজে খেতে উৎসাহ দিতে হবে।
=> পরিমিত মাংস খাওয়াতে হবে। চিনিযুক্ত কোমল পানীয় নিরুৎসাহিত করতে হবে।
=> নিয়মিত কায়িক পরিশ্রমের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
শিশুর স্থূলতার কারণ নির্ণয় করতে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। জটিলতা তৈরি হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।
-সংগৃহীত ।