25/10/2025

চোখের সুস্থতায় ২০-২০-২০ নিয়মটি জেনে নিন


আজকের এই ডিজিটাল যুগে আমরা প্রায় প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে কাটাই। পড়াশোনা, অফিসের কাজ, বিনোদন, সোশ্যাল মিডিয়া—সবকিছুই এখন স্ক্রিনে। তবে এত স্ক্রিন টাইম আমাদের চোখের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। চোখের ক্লান্তি, শুষ্কতা, চোখে লালচে ভাব, মাথাব্যথা, চোখের ভিজন, অস্পষ্টতা—সবই এখন সাধারণ সমস্যা। এসব সমস্যাগুলো কমানো যায় খুব সহজ একটি ট্রিকের মাধ্যমে।


২০-২০-২০ নিয়ম কীঃ

২০-২০-২০ মূলত চোখের সুরক্ষার জন্য একটি নিয়ম যেখানে প্রতি ২০ মিনিট পর পর, ২০ ফুট দূরের কোনো জিনিসের দিকে অন্তত ২০ সেকেন্ড দৃষ্টি সরিয়ে রাখার অনুশীলন। এই অভ্যাস চোখের ফোকাসিং পেশি রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে, চোখের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং দীর্ঘমেয়াদে চোখকে সুস্থ রাখে।


কেন এটি গুরুত্বপূর্ণঃ

স্ক্রিনের কাছাকাছি দীর্ঘ সময় চোখের পেশিগুলো ক্রমাগত চাপের মধ্যে থাকে। এর ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়, পেশি ক্লান্ত হয়, চোখে জ্বালা বা লালচে ভাব দেখা দেয়। ২০-২০-২০ রুল চোখকে ছোট বিরাম দেয়, যা ডিজিটাল ভিশন সিন্ড্রোম বা কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোমের ঝুঁকি কমায়।


প্র্যাকটিক্যাল টিপস—

রিমাইন্ডার ব্যবহার করুন: স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে প্রতি ২০ মিনিটে চোখের বিরামের জন্য রিমাইন্ডার সেট করুন।


পরিবেশের আলো ঠিক রাখুনঃ 

খুব উজ্জ্বল বা খুব অন্ধকার স্ক্রিন চোখের জন্য চাপ তৈরি করে। চারপাশের আলো ও স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা ব্যাল্যান্স করুন।


পলক ফেলতে ভুলবেন নাঃ 

স্ক্রিনের দিকে বেশি তাকালে আমরা কম পলক ফেলি। চোখ শুষ্ক থাকলে লুব্রিকেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।


দূরে তাকানোর অভ্যাস করুনঃ 

জানালার বাইরে বা রুমের অন্য প্রান্তে তাকানো চোখের পেশিকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে।


ছোট বিরতি নিনঃ

শুধু ২০-২০-২০ নয়, মাঝে মাঝে পুরো স্ক্রিন থেকে বিরতি নিন। চোখের ব্যায়াম, হালকা ম্যাসাজ বা চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম দিন।


স্ক্রিনের পজিশন ঠিক রাখুনঃ

স্ক্রিন চোখের থেকে ২০-৩০ ইঞ্চি দূরে এবং চোখের লেভেলের নিচে রাখা ভালো। এটি চোখের ক্লান্তি কমায়।

-সংগৃহীত ।

সিজার পরবর্তী সময়ে নরমাল ডেলিভারি, কখন সম্ভব?

আমাদের দেশে অনেকেরই ধারণা একবার সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি হলে পরবর্তী প্রতিটি প্রেগনেন্সিতে সিজার করার দরকার হয়। ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব অবস...