ঘন ঘন বা বারবার জ্বর হওয়া অবশ্যই দুশ্চিন্তার বিষয়। এর পেছনে থাকতে পারে কিছু কারণ। জেনে নিন এসব ক্ষেত্রে কী করতে হবে।
৩. কোনো কোনো সংক্রমণ দীর্ঘদিন ধরে থাকে। ঠিকমতো শনাক্ত না হওয়ার কারণে সহজে সারতে চায় না। যেমন ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, গোদরোগ, যক্ষ্মা, ছত্রাকের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ।
৪. কখনো কখনো সংক্রমণ ছাড়াও বারবার জ্বর হয়। এসব বেশ বিরল রোগ। যেমন অটোইমিউন ডিজিজ, ক্যানসার।
৫. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও জ্বর হতে পারে।
৬. সাইনাসের ইনফেকশন (সাইনুসাইটিস), কানের ইনফেকশন বা দাঁতের ব্যথার মতো উপসর্গ নিয়ে বারবারই জ্বর হতে পারে।
কী করবেন?
জ্বরের প্রকৃত ইতিহাস জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল করতে হবে।
১. ঠিক কত দিন ধরে রোগী জ্বরে ভুগছেন?
২. দিনের কোন কোন সময়ে জ্বর আসে? জ্বরের মাত্রা কেমন ছিল? জ্বরের সঙ্গে আর কোনো উপসর্গ ছিল?
৩. সর্দি, কাশি বা কাশির সঙ্গে রক্তপাত, শ্বাসকষ্ট আছে?
৪. জ্বর ছাড়ার সময় শরীর ঘামে ভিজে যায়? প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া আছে?
৫. প্রস্রাবের রং, পেটব্যথা, পেট খারাপ বা কোষ্ঠকাঠিন্য আছে কি?
৬. অস্থিসন্ধির ব্যথা, মাথাব্যথা, কানব্যথা, দাঁতব্যথাসহ আনুষঙ্গিক আর কী কী উপসর্গ আছে?
৭. জ্বর আসার নিকট অতীতে কোথাও বেড়াতে গিয়ে বা বাইরে কিছু খাওয়া হয়েছে কি?
৮. জ্বরের সঙ্গে ওজন কমে গেছে? রোদে গেলে শরীরে ব্যথা হচ্ছে?
৯. চোখব্যথা বা চোখ লাল হয়েছে? সাদা স্রাব হচ্ছে? বাড়ির অন্য কেউ একই রকম জ্বরে ভুগেছেন কি?
১০. রোগী সম্প্রতি রক্ত নিয়েছিলেন কি?
জ্বর হলে বিশ্রাম নিন
যাঁরা খামারে কাজ করেন, কৃষি কাজ করেন, তাঁদের বিশেষ ধরনের কিছু জ্বর হয়। আবার একাধিক শারীরিক সম্পর্ক থাকলে বা মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা একই সুচ ব্যবহার করলে হতে পারে এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণ। মাথায় উকুন হলে বা বাড়িতে ইঁদুর থাকলে দূর করতে হবে। বাড়িতে জ্বর মেপে একটা কাগজে লিখে রাখুন। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। দিনে দেড় থেকে দুই লিটার পানি খান, বিশ্রাম নিন। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জ্বরের কারণ শনাক্ত করতে হবে।
-সংগৃহীত ।