কষ্টকর, ব্যয়বহুল এবং বিপজ্জনক যাত্রার পর স্বপ্নের ব্রিটিশ ভূমিতে পা রাখা অভিবাসীদের কষ্টের দিন শেষ হয় না। চ্যানেল পাড়ি দিয়ে বা বিভিন্ন উপায়ে দেশটিতে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা বর্তমানে সেখানকার অস্পষ্ট এবং অমানবিক আশ্রয়ব্যবস্থার গ্যাড়াকলে বন্দি হয়ে পড়েছেন। কয়েক মাস ধরে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে হোটেলে হোটেলে ঘুরতে থাকা এসব অভিবাসীদের মোহভঙ্গ হয়েছে।
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসীদের কখনোই ব্রিটেনে স্বাগত জানানো হয় না। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এটিকে কখনও গোপন করে না। বরং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ফরাসি উপকূল থেকে আসা নৌকাগুলিকে বাঁধা দেয়ার জন্য নজরদারি বাড়িয়েছেন।
এছাড়ান সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন এবং উপকূলে আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যবস্থাপনা সামরিকভাবে পরিচালনা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নতুন আসা আশ্রয়প্রার্থীদের আগমনের প্রথম মাসে রাখার জন্য জন্য বন্দর শহর ডোভারের প্রাথমিক নিবন্ধন কেন্দ্র, ম্যানস্টন ও নেপিয়ারে আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন আটককেন্দ্র বা ডিটেনশন সেন্টার এবং অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করা ২০০টি হোটেলকে প্রস্তুত করেছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।
এসব জায়গায় আশ্রয়প্রার্থীদের অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাখা হচ্ছে।
বেশ কয়েকজন আশ্রয়প্রার্থীর সাক্ষ্য অনুসারে, যুক্তরাজ্যে প্রবেশের শুরুর দিনগুলোতে অভিবাসীদের মোবাইল ফোনগুলো বাজেয়াপ্ত করে তাদের বিচ্ছিন্নতা ও মানসিক সমস্যাকে আরও প্রকট করে তোলা হয়।
প্রকৃতপক্ষে ইংল্যান্ডে আসার প্রথম সপ্তাহগুলোতে আশ্রয়প্রার্থীদের সাথে তাদের প্রতিনিধি ছাড়া কেউ দেখা করার সুযোগ পান না। ডোভারের রেজিস্ট্রেশন সেন্টারটি সমুদ্রে বাধাপ্রাপ্ত আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য প্রথম কেন্দ্র। বন্দরের ঠিক কাছেই অবস্থিত কালো ত্রিপল দিয়ে ঘেরা কেন্দ্রটির ভেতরে কী হচ্ছে সেটি দেখার কোন সুযোগ নেই।
-সংগৃহীত ।
