![]() |
| প্রতীকী ছবি |
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার তাদের জিনোম সিকোয়েন্সের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশিত হতে পারে। এতে দেশে ওমিক্রনের নতুন ওই উপধরন সংক্রমের স্পষ্ট একটি চিত্র পাওয়া যেতে পারে।
আরো একজনের মৃত্যু: এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরো একজন মারা গেছেন। তার আগের ২৪ ঘণ্টাতে ২১ দিন পর একজনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ ওই ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে আরো ৮৭৪ জন। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৮৭৩ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১.৩ শতাংশ।
সর্বশেষ মৃত ব্যক্তি ব্যক্তি পুরুষ এবং তাঁর বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪ জন এবং সুস্থ হয়েছে ১৯ লাখ পাঁচ হাজার ৯৮৩ জন।
ওমিক্রনের এই দুটি উপধরন গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়। গত মে মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ ভারতে এই সাব-ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এই উপধরনটি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণের পঞ্চম ঢেউ এবং সাম্প্রতিককালে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও এই সাব-ভেরিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন।
আইইডিসিআরের বক্তব্য: আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের জিনোম সিকোয়েন্সের সর্বশেষ ফল কাল, পরশু (বুধবার, বৃহস্পতিবার) প্রকাশ হতে পারে। এতে দেশে ওমিক্রনের নতুন উপধরন সংক্রমণের বিষয়ট আরো স্পষ্ট হতে পারে। কারণ আমরা ব্যাপকভাবে জিনোম সিকোয়েন্স করি। ’
তিনি জানান, প্রথম দিকে বলা হচ্ছিল, এটার সংক্রমণ সক্ষমতা অনেক বেশি; কিন্তু পরে আমেরিকা, ইউরোপ এবং ভারতেও এই উপধরনটি শনাক্ত হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, এর সংক্রমণ সক্ষমতা ওমিক্রনের বি-২ ধরনের মতোই। তবে বিএ.৪ অথবা ৫ যেহেতু নতুন ধরন সেহেতু আগে যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদেরও এতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘করোনা মহামারি যেহেতু চলমান আছে, সে কারণে এর ধরনে পরিবর্তন আসবেই। আমরা যদি করোনা টিকা নিই, স্বাস্থ্যবিধিগুলো যথাযথভাবে মেনে চলি তাহলে বিপদ কম হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজের টিকা যারা নেয়নি তাদের দ্রুত টিকাকেন্দ্রগুলোতে যেতে হবে। ’
