দেশে প্রতি বছর ৮ হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ হাজার নারীর এই ক্যানসারে প্রতি বছর মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে ১৫ বছর থেকে শুরু করে প্রায় ৫৪ মিলিয়ন নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারের ঝুঁকিতে আছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রাথমিকে ধরা পড়লে চিকিত্সায় সুস্থ হওয়া সম্ভব। এই ক্যানসার প্রতিরোধে এইচপিভি নামের ক্ষতিকর ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা নিতে হবে। বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং এই ক্যানসারের ঝুঁকি ও প্রতিরোধ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাল্যবিবাহ যেমন জরায়ুমুখ ক্যানসারের অন্যতম কারণ, তেমনি দেরিতে বিয়েও এই রোগের একটি কারণ। তবে দ্রুত চিহ্নিত করাই জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়। জরায়ুমুখ ক্যানসার ঝুঁকি রোধে মেয়েদের যাতে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেই বিবাহ হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এ ছাড়া এই জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি কিশোরীদের দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
পরীক্ষার মাধ্যমে যেহেতু আমাদের দেশে জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, তাই জরায়ুমুখ ক্যানসার শনাক্তকরণের জন্য ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে সচেতন করতে হবে।
প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হলে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিত্সা করা যায় এবং চতুর্থ পর্যায়ের জরায়ুমুখ ক্যানসার রেডিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিত্সা করা যায়। কিন্তু আমাদের দেশে জরায়ুমুখ ক্যানসারের অপারেশন করার জন্য গাইনি অনকোলজি বিশেষজ্ঞ আরো প্রয়োজন এবং রেডিথেরাপির মেশিনও আরো বেশি দরকার। তাই ক্যানসার হওয়ার আগেই এই রোগ ক্যানসার-পূর্ববর্তী অবস্থায় শনাক্ত করতে পারলে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব।
-সংগৃহীত ।