আপনি কি পাসপোর্ট প্রসেসিং, টিকেটিং, ভ্রমণ ভিসা / মেডিক্যাল ভিসার মাধ্যমে সৌদি / ভারতে যেতে চান ? ভারতের বিখ্যাত ডাক্তারদের এপয়েনমেন্ট চান ? আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ +88 01711 898858

পা ও ঠোঁট ফাটলে কী করবেন ?


শীতে পা ও ঠোঁট ফাটা রোধ করতে কিছু বিষয় মেনে চলুন। পা ও ঠোঁট ফাটার কারণগুলো জেনে তা প্রতিকার ও প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলে সহজে এমন সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।


পা ও ঠোঁট কেন ফাটে? 

শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায় । শুষ্ক ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের ত্বকও শুষ্ক হয়ে পড়ে।  পা ও ঠোঁট ফাটা শুরু হয়। শীতকালে বেশির ভাগ মানুষ স্বাভাবিকের তুলনায় কম পানি পান করে। এ কারণে শরীরের ত্বকের শুষ্কতা রোধ করা সম্ভব হয় না। এটাও পা ও ঠোঁট ফাটায় প্রভাব রাখে।


পানিশূন্যতা দূরীকরণ ও ভিটামিন ‘সি’ 

শীতেও প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। ত্বকের শুষ্কতা রোধে প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা দরকার। এ ছাড়া গরম স্যুপ কিংবা ফলের জুস খেতে পারেন। গরম স্যুপ শরীরকে গরম করার পাশাপাশি দেহে পানির সরবরাহ নিশ্চিত করে। এতে ত্বকের শুষ্কতা কমবে।  পা ও ঠোঁট ফাটা রোধ করবে। দেহে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘সি’-এর জোগান পা ও ঠোঁট ফাটা কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘সি’যুক্ত ফলের জুস আমাদের দেহে একই সঙ্গে ভিটামিস ‘সি’ ও পানির জোগান দেবে।


গোসলের সময় ও শেষে 

গোসলের সময় ভালোভাবে স্ক্রাবিং করে নিতে হবে। স্ক্রাবিং করলে শরীরের মৃত কোষ পরিষ্কার হয়। পরিষ্কার কাপড় দিয়ে শরীর ঘষে মৃত কোষ দূর করা যায়। গোসল শেষে শরীর ভালো করে মুছে পুরো শরীরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। শীতকালে থিক টেক্সচারের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। পুরো শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রেখে পা ও ঠোঁট ফাটা রোধ করতে সাহায্য করবে। 


পায়ের বিশেষ যত্ন 

শীতের সময় পায়ের গোড়ালি ফাটা রোধে মাসে অন্তত দুবার পেডিকিউর করতে পারেন। পেডিকিউর করার সময় পায়ের ত্বকে স্ক্রাব ব্যবহার করুন। এতে ত্বক ভালো পরিষ্কার হয় ও ত্বক নরম হয়। এ ছাড়া হাইড্রেটিং প্যাক কিংবা গ্লোয়িং প্যাক ব্যবহার করে ত্বকে উজ্জ্বলতা ও সজীবতা আনা হয়। পেডিকিউর করার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। খালি পায়ে হাঁটা থেকে বিরত থাকতে হবে। জুতা পরিধান ও পরিষ্কার মোজা ব্যবহারের অভ্যাস করতে হবে।


ঠোঁটের বিশেষ যত্ন 

ঠোঁটের ত্বক খুব পাতলা হওয়ায় বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। ঠোঁটের জন্য আলাদা স্ক্রাব পাওয়া যায় বাজারে। এটা কিনে ব্যবহার করতে পারেন। এরপর লিপবাম কিংবা ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে হবে। শীতের সময় ড্রাই বা ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার না করা উত্তম। সে ক্ষেত্রে  সেমি ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করা ঠোঁটের জন্য ভালো। লিপস্টিক ব্যবহার করার আগে ঠোঁটে প্রাইমার ব্যবহার করলেও ঠোঁটের ত্বক ভালো থাকবে। এর পরও যদি ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়, তাহলে লিপগ্লস ব্যবহার করে ঠোঁটের শুষ্কতা রোধ করা যায়।

তবে পা ও ঠোঁট ফেটে যদি রক্ত বের হয় কিংবা তার মাধ্যমে শরীরে কোনো ক্ষত সৃষ্টি হয়, তাহলে দ্রুত ত্বক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পরামর্শের জন্য যেতে হবে।

-সংগৃহীত ।

Popular Posts

Search This Blog