প্রেগনেন্সি টেস্ট পজেটিভ আসার পর থেকেই হবু মায়ের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। তার নিজস্ব সুস্থতার পাশাপাশি গর্ভস্থ শিশুর সুস্থতা ও সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করার দায়িত্বও তার ওপর চলে আসে। তাই প্রেগনেন্সির শুরু থেকেই মা হওয়ার প্রস্তুতি নেয়া উচিত।
প্রেগনেন্সির প্রথম তিন মাসে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে, যেমন:
👉 ইকটপিক প্রেগনেন্সি (জরায়ুর বাইরে ভ্রুণের অবস্থান),
👉 ব্লাইটেড ওভাম,
👉 মোলার প্রেগনেন্সি,
👉 মিসড এবরশন ইত্যাদি।
এ ছাড়া আরও নানা জটিলতা হতে পারে। তাই শুরু থেকেই যতটা সম্ভব সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
পিরিয়ড মিস হওয়ার দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। সেই সঙ্গে একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো খুবই প্রয়োজনীয়। অনেকের মনে হতে পারে, প্রেগনেন্সির শেষদিকে বা ডেলিভারির আগে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলেই হবে। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। প্রথম তিন মাসে যদি সঠিক সময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা না হয়, তবে নানা ধরনের জটিলতা নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
প্রেগনেন্সির প্রথম তিন মাসের মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার মাধ্যমে যে সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় তা হলোঃ
👉 গর্ভাবস্থা নিশ্চিতকরণ (কনসেপশন),
👉 গর্ভস্থ শিশুর অবস্থান (জরায়ুর মধ্যে ঠিকভাবে সংস্থাপিত হয়েছে কিনা),
👉 ভ্রুণ ও হার্টবিটের উপস্থিতি,
👉 ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ।
এই সব তথ্য মায়ের এবং ভ্রুণের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং, প্রেগনেন্সির শুরু থেকেই সঠিক সময়ে ডাক্তারকে দেখানো এবং আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো অপরিহার্য। পিরিয়ড মিস হওয়ার দুই মাসের মধ্যে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করিয়ে নিজের ও গর্ভস্থ শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করুন।
-সংগৃহীত ।