06/11/2025

যেসব দেশে কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন


দেশ-বিদেশ ভ্রমণের ইচ্ছে অনেকেরই থাকে, কিন্তু বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে তা বাস্তবে রূপ নেয় না। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ রয়েছে, যেখানে কম খরচে ঘুরে আসা সম্ভব— ভিসা ফি থেকে শুরু করে থাকা-খাওয়া ও পরিবহন খরচ পর্যন্ত সবই তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী।

বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ সহজ ভিসা প্রক্রিয়া, নিরাপদ পরিবেশ এবং স্বল্প ব্যয়ে ঘোরাঘুরির সুযোগের কারণে বাজেট ভ্রমণকারীদের কাছে এখন জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। পর্যটক ভিসার খরচ, বিমান ভাড়া ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে সহজেই এমন একটি ভ্রমণ পরিকল্পনা করা যেতে পারে, যা আনন্দদায়ক ও অর্থসাশ্রয়ী দুটোই হবে।

চলুন জেনে নিই— কম খরচে ঘুরে আসার মতো এমন কিছু দেশের নাম, যেখানে অল্প বাজেটেই উপভোগ করতে পারবেন স্মরণীয় এক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।


নেপালঃ

নেপালের ভিসার খরচ খুবই কম। ১৫ দিনের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৩৬০০ টাকা, ৩০ দিনে প্রায় ৬০০০ টাকা এবং ৯০ দিনে প্রায় ১৫,০০০ টাকা। এমন সাশ্রয়ী খরচ এবং সহজে ভিসা বাড়ানোর সুবিধার কারণে হিমালয়ের দিকে যাওয়া পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে বাজেটবান্ধব দেশগুলোর মধ্যে একটি।


কম্বোডিয়াঃ

কম্বোডিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাশ্রয়ী ভিসা সুবিধাসম্পন্ন দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ৩০ দিনের পর্যটক ভিসার খরচ মাত্র প্রায় ৩৬০০ টাকা, আর সাধারণ ই-ভিসার খরচ প্রায় ৪২০০ টাকা। ২০২৫ সালে এই সাশ্রয়ী খরচ আরও বেশি পর্যটককে আর্কন ওয়াটের প্রাচীন মন্দির, ফ্রোমপেনহের ঐতিহাসিক স্থান এবং কামপট ও কেপের সমুদ্রসৈকত ঘুরতে আকৃষ্ট করছে। 


জর্ডানঃ

জর্ডানে ৩০ দিনের একক প্রবেশ ভিসার খরচ প্রায় ৪০ জর্ডানীয় দিনার, অর্থাৎ প্রায় ৭০০০ টাকা। ফ্রি না হলেও, এটি অনেক প্রতিবেশী দেশের তুলনায় অনেক কম। যারা পেত্রা, ডেড সি বা ওয়াদি রুম মরুভূমি দেখতে চান, তাদের জন্য এই খরচ যুক্তিসঙ্গত। জর্ডান পাস ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রে ভিসার খরচও মওকুফ করা হয়।


তানজানিয়াঃ

তানজানিয়ার পর্যটক ভিসার খরচ প্রায় ৬১০০ টাকা এবং সেখানে ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেয়। সেরেনগেটির সাফারি, কিলিমাঞ্জারো পর্বত এবং জাঞ্জিবারের সৈকত ভ্রমণের জন্য এই খরচ অত্যন্ত কম মনে হয়। 


উগান্ডাঃ

উগান্ডার পর্যটক ভিসার খরচও প্রায় ৬১০০ টাকা এবং এটি ৯০ দিনের জন্য বৈধ। উগান্ডা তার পর্বতগোরিলা, জাতীয় উদ্যান এবং নীলনদের উৎস হিসেবে পরিচিত। পর্বতগোরিলা দেখতে গেলে জাতীয় উদ্যানগুলোতে ভ্রমণ করতে হয়, বিশেষ করে বুইন্দি ইমপেনেট্রেবল জাতীয় উদ্যান পর্বতগোরিলা দেখার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান।

এই দেশগুলো বাজেট সচেতন পর্যটকদের জন্য সহজে ভ্রমণ এবং সাশ্রয়ী ভিসার সুবিধা দেয়। সময়-সুযোগ থাকলে পরিকল্পনা করে ঘুরে আসতে পারেন।

যেভাবে খাবারের সঙ্গে পেটে যাচ্ছে মারাত্মক বিষ


দেশে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাবার নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে।  চাল, ডাল, আটা, মসলা, কলা, দুধ, মিষ্টি-সবকিছুতেই ক্ষতিকর রাসায়নিক। বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হচ্ছে প্রায় সব ধরনের ফল। কিছু খাবারে মেশানো হচ্ছে কাপড়ের রং। এসব খাবার যাচ্ছে দেশের ১৭ কোটি মানুষের পেটে। ভয়ংকর আরও তথ্য হচ্ছে শিশুখাদ্য ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধেও মেশানো হচ্ছে ভেজাল উপাদান। অন্যদিকে মাঠপর্যায়ের কৃষিপণ্যেও দেওয়া হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক। অর্থাৎ ভেজালের কবলে পড়েছে দেশের জনস্বাস্থ্য। বিপন্ন হচ্ছে মানবদেহ। বাড়ছে ক্যানসার, কিডনি ও লিভারের জটিল রোগ। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আর রাষ্ট্রের পক্ষে সরকারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরগুলো চোখ-কান বন্ধ করে আছে। রয়েছে তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতাও। ফলে দিনকে দিন গভীর হচ্ছে এই সংকট। তদারকির অভাব ও দায়হীনতায় ভেজালকারীদের দৌরাত্ম্য কতদূর পর্যন্ত যাবে-এই জবাব খুঁজছে বাংলাদেশের অসহায় ভোক্তা। তারা জানতে চান, নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকা প্রশাসন কবে জনস্বার্থে তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। রাখবে কার্যকর ভূমিকা। কারণ যেদিকে নজর যাবে ভেজাল আর রাসায়নিক খাদ্যপণের ছড়াছড়ি।


বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) এক গবেষণায়ও এ বিষয়ে উঠে এসেছে আতঙ্কিত হওয়ার মতো সব তথ্য। দেখা গেছে সারা দেশ থেকে সংগৃহীত খাদ্য নমুনার ৫২ শতাংশ দূষিত। প্রতিষ্ঠানটির ল্যাবে ৮২টি খাদ্যপণ্য পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, গড়ে ৪০ শতাংশ খাদ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহনীয় মাত্রার চেয়ে ৩ থেকে ২০ গুণ বেশি নিষিদ্ধ ডিডিটি ও অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান পাওয়া গেছে। এছাড়া ৩৫ শতাংশ ফল ও ৫০ শতাংশ শাকসবজির নমুনায় বিভিন্ন কীটনাশকের উপস্থিতি ধরা পড়ে। চালের ১৩টি নমুনায় পাওয়া গেছে অতিমাত্রায় বিষাক্ত আর্সেনিক, পাঁচটিতে ক্রোমিয়াম। হলুদের গুঁড়ার ৩০টি নমুনায় সিসা ও অন্যান্য ভারী ধাতু, আর লবণে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২০-৫০ গুণ বেশি সিসা পাওয়া গেছে। এমনকি মুরগি এবং মাছেও মিলছে ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব।


খাদ্যে বিষ ও ভেজাল রোধে সরকার ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৫, নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ প্রণয়ন করেছে। এমনকি ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনেও খাদ্যে ভেজাল দেওয়া ও বিক্রির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু এসব আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় সাধারণ জনগণ কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছে না।

05/11/2025

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে?


আপনারা অনেকেই  বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে চাচ্ছেন,  পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে বা পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে এ সকল বিষয়ে হয়তো অনেকেরই ধারণা নেই। এর কারণে অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে সার্চও করে থাকেন। আশা করি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বর্তমানে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে ও পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে সে সম্পর্কে ।


পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে?

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়টি নির্ভর করে, আসলে আপনারা কোন ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে চাচ্ছেন তার ওপর। কারণ পর্তুগাল যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে, তো সেই ভিসার মধ্যে একেক ভিসার দাম এক এক রকম হয়ে থাকে। তাহলে চলুন আগে দেখে নেওয়া যাক কি কি ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যাওয়া যায়।


👉 ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসা। 


👉 ওয়ার্ক পারমিট ভিসা,


👉 মেডিকেল ভিসা,


👉 ফ্যামিলি ভিসা ও


👉 স্টুডেন্ট ভিসা 


তাহলে আপনারা উপরে দেখতে পাচ্ছেন যে বর্তমানে পর্তুগালে কোন কোন ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যায়। তো আপনারা যদি উপরের এই বিষয়গুলোর মাধ্যমে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদের জানতে হবে যে কোন ভিসার জন্য কত টাকা লাগতে পারে বা বর্তমানে কোন ভিসার জন্য কত টাকা গুনতে হবে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য।


পর্তুগাল ভিসার দাম কত? 

আপনারা অনেকেই আছেন যারা সার্চ করে থাকেন যে পর্তুগালের ভিসার দাম কত। উপরে  দেখেছেন যে কোন কোন ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যাওয়া যায়। এখন চলুন দেখে নেওয়া যাক পর্তুগালের কোন ভিসার দাম কত টাকা।


👉 ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কত টাকা লাগবে? আসুন জেনে নেই ।


ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে সবচেয়ে বেশি টাকা লাগে কারণ, ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে যেমন ক্লিনার, কৃষি কাজ, ফ্যাক্টরির কাজ এগুলোকে বোঝায়। এগুলোর মধ্যে সাধারণ মানুষ গুলোও চাইলে যেতে পারবে। তো যাই হোক ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে টাকা লাগে ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা এর মত।


👉 মেডিকেল ভিসার জন্য কত টাকা লাগবে? আসুন জেনে নেই ।


মেডিকেল ভিসার দাম কত, মেডিকেল ভিসার দাম কত এই বিষয়ে জানার আগে আপনার আগে জানতে হবে যে মেডিকেল ভিসার জন্য কোন কিছুর প্রয়োজন হয় কিনা। মেডিকেল ভিসার জন্য অবশ্যই কোন ভার্সিটি বা প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল সার্টিফিকেট থাকতে হবে। তো যাই হোক মেডিকেল ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে টাকা লাগে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা এর মত।


👉 ফ্যামিলি ভিসার জন্য কত টাকা লাগবে? আসুন জেনে নেই ।


ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে, এখন যদি আপনাদের পর্তুগালে কোন ফ্যামিলির লোক থাকে সেটা অন্য বিষয় সেক্ষেত্রে বেশি টাকা খরচ হবে না। তবে যদি আপনি সরাসরি ভাবে ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে চান তাহলে টাকা লাগবে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা এর মত।


👉 স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কত টাকা লাগবে? আসুন জেনে নেই ।


স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে, যদি পর্তুগাল কোন স্কলারশিপ পেয়ে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে টাকা লাগবে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত। আর যদি পর্তুগাল লেখাপড়া করার জন্য কোন স্কলারশিপ না পেয়ে সরাসরি পর্তুগাল যেতে চায় তাহলে টাকা লাগবে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা থেকে ১৮ লক্ষ টাকা এরমত।


👉 ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসার জন্য কত টাকা লাগবে? আসুন জেনে নেই ।


ট্যুরিস্ট বা ভিজিট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে, আপনারা সবাই হয়তো জানেন যে টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসার মাধ্যমে যদি কোন দেশে যেতে হয় তাহলে এর একটি মেয়াদ রয়েছে। কোন ভিসার মেয়াদ ৩ মাস পর্যন্ত থাকে আবার কোন ভিসার মেয়াদ ছয় মাস পর্যন্ত থাকে সেটি হচ্ছে টাকার উপর নির্ভর করে। তো যাই হোক ৩ মাসের মেয়াদে টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে টাকা লাগবে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা এর মত আর যদি ৬ মাসের মেয়াদে টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে চান তাহলে টাকা লাগবে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা এর মত।


পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে? আসুন জেনে নেই ।

পর্তুগাল যাওয়ার জন্য বয়স বিষয়টা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ধরুন আপনাদের মাঝে হয়তো বা কেউ পর্তুগাল যেতে যাচ্ছেন কিন্তু তার পর্তুগাল যাওয়ার বয়স সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তারই। তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে, পর্তুগাল যেতে বয়স লাগে সর্বনিম্ন বয়স ১৯ বছর থেকে সর্বোচ্চ বয়স ৩৭ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ এই বয়সের থেকে কম হলে বা বেশি হলে কোন ভাবেই পর্তুগাল যাওয়া সম্ভব নয়। তো আশা করি আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।


আপনারা যারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন, আশা করি পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে বা পর্তুগাল যেতে বয়স কত লাগে এর সকল বিষয়ে জানতে পেরেছেন। তো আপনাদের যদি এরকম আরো বিভিন্ন দেশের তথ্যের প্রয়োজন হয় তাহলে এই সাইটটি ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন। তো সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকার চেষ্টা করবেন।

পেটের গ্যাস থেকে কি মাথা ব্যথা হয়?


প্রায় সময় মাথা ব্যথা হয়?  আর সেই ব্যথার জন্য পেটের গ্যাসকে দোষ দেন?  অনেকে মনে করেন,  পেটের গ্যাস নাকি মাথায় উঠে যায়! সেই গ্যাসের জন্যই নাকি মাথায় তীব্র যন্ত্রণা হয়।

তবে সাধারণ মানুষের এই ধারণার কি কোনো ভিত্তি রয়েছে? সেই উত্তর জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। আর সেটি জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।


পেটের গ্যাস কি মাথায় ওঠে?

এরকম ধারণা আসলে ভুল। পেটের গ্যাস একবারেই মাথায় ওঠে না। এই ধারণার থেকেই যত সমস্যার সূত্রপাত। অনেকেই গ্যাসের ব্যথা হিসেবে বড় সমস্যাকে অবহেলা করেন। যার ফল হয় খারাপ। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। গ্যাসের জন্য কি মাথা ব্যথা হতে পারে?

সেটাও সম্ভব নয় বলেই মনে করেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে, গ্যাসের জন্য মাথা ব্যথার কোনো প্রশ্নই নেই। এটা একটা ভুল ধারণা। তাই এখন থেকে নিজের ধারণায় পরিবর্তন আনুন। বরং সমস্যা হলে চিকিৎসক দেখান। ওষুধ খান। তাহলেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। তবে কি এই ধারণা পুরোটাই মিথ্যে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবারেই মিথ্যে নয়। তারা ঠিকই বলেন। যদিও বিষয়টা একবারে উল্টো। অর্থাৎ মাথা ব্যথা বা মাইগ্রেনের জন্য অনেক ক্ষেত্রে পেটে অস্বস্তি শুরু হয়ে যায়। তখন কারো কারো গ্যাসের অনুভূতি হয়। আর এমন পরিস্থিতিতেই অনেকে মনে করেন যে পেটের গ্যাসের জন্য বুঝি মাথা ব্যথা হচ্ছে। যদিও এক্ষেত্রে মাইগ্রেনের জন্যই সমস্যাটা হয়।

এমন সমস্যা হলে কী করবেন?

এই অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি যেই সমস্যা বুঝবেন, সেই মতো করবেন চিকিৎসা। এক্ষেত্রে মাইগ্রেনের জন্য যদি সমস্যা হয়, তাহলে ভালো চিকিৎসা রয়েছে। অত্যন্ত উন্নত কিছু ওষুধ রয়েছে। সেগুলো খেলেই মাইগ্রেন থেকে সেরে ওঠা যাবে।

এ ছাড়া পেটের সমস্যা মেটাতে খেতে হবে অ্যান্টাসিড জাতীয় কিছু ওষুধ। পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ায় আনতে হবে পরিবর্তন। ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুড খাওয়া যাবে না। এমনকি মিষ্টিও খাওয়া যাবে না। তার পরিবর্তে হালকা খাবার খান। বিশেষত, শাক-সবজি ও ফল খেতে হবে। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। দেখবেন গ্যাস, এসিডিটির মতো সমস্যা থাকবে দূরে।

-সংগৃহীত ।

04/11/2025

কানে চুল গজানো কিসের ইঙ্গিত?


মানুষের বয়ঃসন্ধির পর হরমোনের পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। এই সময়ে কানের লোমকূপ সক্রিয় হতে পারে, ফলে কানে চুল গজাতে পারে। যদিও এটি বাইরের ধূলিকণা ও জীবাণু থেকে কানকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।

যেমন ডায়াবেটিস বা উচ্চ টেস্টোস্টেরন লেভেলের সঙ্গে এর যোগ থাকতে পারে। নাকের ভেতরে চুল থাকা যদিও স্বাভাবিক। কিন্তু বাইরের পাশে হঠাৎ চুল মানে হরমোনের সমস্যা হতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, নাকের চারপাশে বেশি চুল গজালে লিভার ফাংশন দুর্বল হতে পারে।

হাতে পায়ে হঠাৎ প্রচুর চুল গজানো পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের (পিসিওএস) ইঙ্গিত হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটা সাধারণ, তবে হঠাৎ গজালে হরমোন বা থাইরয়েড সমস্যা হতে পারে।

তবে হঠাৎ ঘন বা মোটা চুল গজালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চুল গজানোর সঙ্গে অতিরিক্ত ঘাম, ওজন বেড়ে যাওয়া, ব্রণ–এগুলো হলে গুরুত্ব দিন।

-সংগৃহীত ।

03/11/2025

দাঁতের যত্নের অসাবধানতা ডেকে আনতে পারে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস


অনেকেই পুরনো টুথব্রাশ মাসের পর মাস ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতই অন্যের টুথব্রাশ ব্যবহার করেন! এই সামান্য অবহেলাই ডেকে আনতে পারে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো ভয়ংকর সমস্যা।

=> তবে টুথব্রাশই আপনার শরীরের প্রথম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, টুথব্রাশ হলো শরীরকে সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করার প্রথম সারির রক্ষাকবচ। দাঁত মাজা শুধু মুখের দুর্গন্ধ বা দাগ দূর করে না—এটি মুখের জীবাণুকে এমন পর্যায়ে আটকে দেয়, যাতে তা হৃদয় বা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলতে না পারে।

অর্থাৎ, টুথব্রাশ একরকম ‘প্রহরী’র মতো কাজ করে, যা মুখের সংক্রমণকে বড় রোগে রূপ নিতে বাধা দেয়।

মুখের ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু হয় বড় বিপদ ।

চিকিৎসকদের মতে, মানুষের মুখে থাকে প্রায় ৭০০ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া। নিয়মিত দাঁত না মাজলে এসব ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে প্লাক তৈরি করে, যা মাড়ির প্রদাহের মূল কারণ। চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেন, এই ব্যাকটেরিয়া ও প্রদাহজনক অণুগুলো রক্তপ্রবাহে ঢুকে গেলে তা হৃদয়, লিভার ও অগ্ন্যাশয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ সৃষ্টি করে।

ডায়াবেটিসের সঙ্গে মুখের স্বাস্থ্যের সম্পর্কঃ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রক্তে অতিরিক্ত শর্করা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে সহজে মাড়ির সংক্রমণ হয়। আর সেই সংক্রমণ ইনসুলিনের কার্যকারিতা নষ্ট করে, ফলে রক্তে শর্করা আরো বেড়ে যায়।

অর্থাৎ, খারাপ মুখের স্বাস্থ্য ডায়াবেটিসকে বাড়িয়ে দেয়, আর ডায়াবেটিস আবার মুখের সংক্রমণকে জটিল করে তোলে।

এটি এক বিপজ্জনক দুষ্টচক্র।

মাড়ির প্রদাহ বাড়ায় হৃদরোগের ঝুঁকিঃ

মাড়ির দীর্ঘস্থায়ী ইনফ্লেমেশন শুধু রক্তপাত ঘটায় না, বরং ধমনীগুলোকেও শক্ত করে ফেলে। যাকে বলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস।

জনস হপকিন্স মেডিসিন জানায়, এটি ধমনীর ভেতরে প্লাক জমে যাওয়ার ফলে হয়, যা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

চিকিৎসকরা বলেন, দীর্ঘদিন মুখের প্রদাহ চলতে থাকলে হৃদয়ের প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।

যাদের অনিয়ন্ত্রিত মাড়ির রোগ আছে, তাদের হার্ট ডিজিজের আশঙ্কা প্রায় দ্বিগুণ।

সুস্থ অভ্যাসে মিলবে সুরক্ষাঃ

  •  দিনে দুইবার দাঁত মাজুন।
  •  নিয়মিত ফ্লস করুন।
  •  সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।
  •  বছরে অন্তত দুইবার ডেন্টাল চেকআপ করুন।

টুথব্রাশ কত ঘন ঘন বদলাবেনঃ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি তিন মাসে একবার টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। কারণ পুরনো টুথব্রাশে জীবাণু জমে যায়, আর এর ব্রিসল বা আঁশ বাঁকিয়ে যায়। ফলে তা দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা প্লাক বা ব্যাকটেরিয়া পুরোপুরি তুলতে পারে না।

এ ছাড়া তামাক, অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টিজাত খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ এগুলো মাড়ি ও দাঁতের সবচেয়ে বড় শত্রু। ছোট্ট এক টুথব্রাশই পারে আপনার শরীরকে বড় বড় রোগ থেকে বাঁচাতে। তাই দাঁত মাজাকে অবহেলা নয়, প্রতিদিনের অভ্যাসে আনুন নিয়ম ও যত্ন।

-সংগৃহীত ।

02/11/2025

টাইফয়েড টিকার গুরুত্ব

বর্তমানে সারা দেশে শিশুদের টাইফয়েড রোগ প্রতিরোধের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টিকাদান ক্যাম্পেইন চলছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (EPI) আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি প্রায় ৫ কোটি শিশুকে এই জীবনদায়ী টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, কিছু মহল এই টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে ভিত্তিহীন ও ক্ষতিকর গুজব ছড়াচ্ছে। একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, এই টিকা অত্যন্ত নিরাপদ এবং শিশুদের জন্য এর উপকারিতা অনস্বীকার্য।


কেন টাইফয়েড টিকা জরুরিঃ

টাইফয়েড জ্বর একটি গুরুতর রোগ, যা Salmonella Typhi নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে এই রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, যেখানে স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির সমস্যা অনেকটাই প্রকট, সেখানে টাইফয়েড শিশুদের জন্য এক নীরব ঘাতক।


টাইফয়েড কেন শিশুদের জন্য প্রাণঘাতীঃ

১. তীব্র অসুস্থতাঃ টাইফয়েড হলে শিশুর উচ্চ জ্বর, পেটে ব্যথা, বমি, দুর্বলতা এবং কখনো কখনো ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। এই জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।


২. মারাত্মক জটিলতাঃ সময়মতো চিকিৎসা না হলে বা রোগ গুরুতর হলে অন্ত্রে রক্তক্ষরণ, অন্ত্রে ফুটো (perforation) এবং মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের সংক্রমণ (meningitis বা encephalopath) হতে পারে, যা শিশুর জীবন কেড়ে নিতে পারে।


৩. অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী (Antibiotic Resistance) টাইফয়েডঃ বর্তমানে মাল্টি-ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট (MDR) ও এক্সটেনসিভলি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট (XDR) টাইফয়েডের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকও অনেক সময় কাজ করে না। তাই এই অবস্থায় টিকা দেওয়া ছাড়া প্রতিরোধের আর কোনো বিকল্প থাকে না।


যে টিকাটি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা কতটা নিরাপদ?

বর্তমানে EPI কর্মসূচিতে যে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (TCV) ব্যবহার করা হচ্ছে, তা বহুবিধ মানদণ্ডে পরীক্ষিত এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ।


১. WHO কোয়ালিফায়েডঃ টিকাটি জিএসকে (GSK) ফর্মুলায় প্রস্তুতকৃত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কর্তৃক গুণগত মান ও কার্যকারিতার ভিত্তিতে অনুমোদিত।


২. বহুল ব্যবহৃত ও প্রমাণিতঃ বিশ্বব্যাপী এই ধরনের টিকা বহু বছর ধরে শিশুকে দেওয়া হচ্ছে এবং এর নিরাপত্তা প্রোফাইল চমৎকার।


৩. ICDDR,B গবেষণাঃ আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (ICDDR,B)-এর মতো বিশ্বমানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই টিকার নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণা করেছে এবং তাদের ফলাফলে এটি শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে। এই গবেষণালব্ধ ফলাফল আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এর নির্ভরযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে দেয়।


৪. সুবিধাজনক টিকাঃ টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (TCV) অন্যান্য পুরোনো টাইফয়েড টিকার চেয়ে বেশি কার্যকর এবং এটি ৯ মাস বয়স থেকেই দেওয়া যায়। এটি মাত্র এক ডোজেই দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা নিশ্চিত করে।


গুজবে কান নয়, বিজ্ঞান ও বিশ্বাসে আস্থা রাখুন

গুজবে বলা হচ্ছে যে এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক বা এটি অন্য কোনো ক্ষতি করবে এই ধরনের প্রচার সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অন্য যে কোনো টিকার মতো এই টিকারও কিছু সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। 

যেমনঃ টিকা দেওয়ার স্থানে সামান্য ব্যথা, ফোলা বা জ্বর। এগুলো সাধারণত ১-২ দিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায় এবং তা টাইফয়েড রোগের মারাত্মক জটিলতার তুলনায় কিছুই নয়। সরকার যখন কোটি কোটি শিশুর জীবন রক্ষায় এমন মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে তখন আমাদের উচিত এতে সমর্থন করা।


শিশুকে এই টিকা দিয়ে আপনি শুধু আপনার সন্তানকেই নয়, বরং সমাজকেও সুরক্ষিত করছেন। কারণ, টিকা নেওয়া শিশু রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়। প্রতিকার নয়, প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।

-সংগৃহীত ।

সিজার পরবর্তী সময়ে নরমাল ডেলিভারি, কখন সম্ভব?

আমাদের দেশে অনেকেরই ধারণা একবার সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি হলে পরবর্তী প্রতিটি প্রেগনেন্সিতে সিজার করার দরকার হয়। ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব অবস...