16/11/2025

ডায়াবেটিস হলে কি শর্করা জাতীয় খাবার বন্ধ করা উচিত?



ডায়াবেটিসের প্রধান চিকিৎসা হলো শৃঙ্খলিত জীবনযাপন। শৃঙ্খলার একটি অন্যতম অংশ হচ্ছে ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস। কিন্তু বেশির ভাগ রোগী ডায়াবেটিক ডায়েট সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা পোষণ করেন।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে খাদ্যতালিকা থেকে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ দিচ্ছেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। খাদ্যতালিকা থেকে শর্করা বাদ দিলে নানা ধরনের দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। শর্করা আমাদের শরীরের প্রধান জ্বালানি বা শক্তির উৎস। খাদ্যতালিকা থেকে শর্করা বাদ দিলে প্রথমেই সুষম খাদ্যের ভারসাম্য নষ্ট হয়।


শর্করা বাদ দিলে কী হতে পারেঃ

শর্করা বন্ধ করলে শরীর দ্রুত হারে চর্বি ভাঙতে শুরু করে। ফলে প্রচুর কিটো অ্যাসিড তৈরি হয় এবং রক্তের পিএইচ কমে যায়। ফলে রোগী অজ্ঞান হয়ে কোমায় চলে যেতে পারেন। এ ছাড়া শর্করা না খেলে শরীর পেশি ভেঙে শক্তি উৎপন্ন করতে চেষ্টা করে। ফলে পেশি শুকিয়ে যেতে থাকে, অতিরিক্ত দুর্বলতা দেখা দেয় এবং স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়।

ডায়াবেটিস রোগীরা শর্করা একেবারেই না খেলে রক্তের শর্করা অতিরিক্ত কমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। এতে মাথাব্যথা, শরীর কাঁপা, ক্লান্তি, দ্রুত হৃৎস্পন্দন, কথা বলতে সমস্যা, খিঁচুনি, চেতনা হারানো, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

শর্করা বাদ দিলে শরীর থেকে পানি কমে পানিশূন্যতা দেখা দেবে। ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ফলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, ত্বক শুষ্ক হয়ে দাগ পড়ে যায়। শর্করা কম খাওয়ায় শরীরে শক্তি কমে মাথাব্যথা, দুর্বলতা, অল্পতেই বিরক্তি, সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব থেকে পড়াশোনা বা কাজে কম মনোযোগ, পড়া মুখস্থ না থাকা, কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য, কখনো ডায়রিয়াসহ অনেক কিছু হতে থাকে।


করণীয়ঃ

ডায়েট বা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে শর্করা বাদ দেওয়ার দরকার নেই। বরং দরকার উপযুক্ত শর্করা খাবার বাছাই করা। জটিল শর্করা রক্তের সুগার চট করে বাড়ায় না। ডায়াবেটিসের রোগীর উচ্চ আঁশযুক্ত, কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সসম্পন্ন খাবার বেছে নিতে হবে। সারা দিনের খাবারে ৪০ শতাংশের বেশি শর্করা রাখা যাবে না। শর্করার উৎস হিসেবে লাল চাল, লাল আটা, বার্লি আটা, রোল্ড ওটস, ডাল ও শাকসবজি বেছে নিতে হবে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে একবারে বেশি শর্করাজাতীয় খাবার না খেয়ে দুই-তিনবারে ভাগ করে খেতে হবে। স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম, দুধ, টক দই, স্যুপ, চিবিয়ে খেতে হয় এমন ফল, সালাদ খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদ বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

-সংগৃহীত ।

12/11/2025

এসব পানীয় কি রাতে খাচ্ছেন?



রাতে এক গ্লাস দুধ খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকের। কেউ আবার ঘুমের আগে কেবল পানিই খান। আদতে কোন ধরনের তরল গ্রহণ করা উচিত রাতে? কোনগুলোই–বা এড়িয়ে চলা উচিত সন্ধ্যা থেকে?

পানিঃ

রাতে ঘুমের পুরোটা সময় আমরা কোনো কাজ না করলেও দেহের ভেতর চলতে থাকে নানা ক্রিয়া–বিক্রিয়া। সেসব ক্রিয়া–বিক্রিয়ার জন্য পানি অপরিহার্য। তাই রাতে ঘুমের আগে এক গ্লাস পানি খাওয়া ভালো অভ্যাস।

তাতে সারা রাতে আপনার পানিশূন্য হয়ে পড়ার ঝুঁকিও কমে। তবে আপনি চাইলে পানির পরিবর্তে এমন পানীয়ও খেতে পারেন, যা পানির এই চাহিদা পূরণ করবে।


ডিটক্স পানিঃ

রাতে পানির পরিবর্তে আপনি ডিটক্স পানি খেতে পারেন অনায়াসেই। ডিটক্স পানি ঘুমের জন্য ভালো। এ ছাড়া এসব পানীয় দেহের বিপাক হার কিছুটা বাড়ায়। অর্থাৎ বাড়তি মেদ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে এসব পানীয়। ডিটক্স পানি ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এসব পানীয় ছাঁকা উচিত নয়। কুসুম গরম পানি দিয়ে তৈরি করতে পারেন ডিটক্স পানি।

রাতে যেসব উপকরণ দিয়ে ডিটক্স পানি তৈরি করতে পারেন—

=> আদা ও লেবু

=> দারুচিনি (সঙ্গে মধুও দেওয়া যেতে পারে)

=> হলুদ ও গোলমরিচ

=> শসা ও লেটুসপাতা

=> মেথি, জৈন ও গুয়ামৌরি (অ্যাসিডিটি কমাতে এই পানীয় দারুণ)

রাতে পানির পরিবর্তে আপনি ডিটক্স পানি খেতে পারেন অনায়াসেই 


দুধঃ

রাতে শোয়ার আগে দুধ খেলে ঘুম ভালো হবে কি না, ব্যাপারটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। তবে অনেকেই শোয়ার আগে দুধ খান। এটি তাঁদের ঘুমের জন্য মানসিক প্রস্তুতির একটা অংশ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু অনভ্যস্ত ব্যক্তির জন্য হঠাৎ রাতে দুধ খেতে শুরু করাটা অস্বস্তিকর হতে পারে।

কারও জন্য গরম দুধ ভালো, কারও জন্য ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করা দুধ ভালো। কেউ আবার স্বাভাবিক তাপমাত্রার দুধ খান। এ বিষয়টি ব্যক্তিভেদে আলাদা। দুধ খেলে পানির চাহিদা তো মিটবেই, মিলবে পুষ্টিও। তবে আপনি দুধ রাতে খাবেন নাকি দিনের অন্য কোনো সময়ে, ঠিক করে নিন আপনার স্বাচ্ছন্দ্যের ভিত্তিতেই।


চিনি মেশানো পানীয়ঃ

চিনি মেশানো পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য কখনোই ভালো নয়। বিশেষত রাতে আপনি যদি এ ধরনের পানীয় খান, তাহলে এই বাড়তি ক্যালরি আপনি পোড়ানোর সুযোগও পাচ্ছেন না। তার ওপর রাতে চিনি মেশানো পানীয় খাওয়া হলে তাতে অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বাড়ে।

বাদামি চিনি, কৃত্রিম চিনি, মধু বা গুড় কোনোটিকেই চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে ধরে নেওয়ার সুযোগ নেই। অর্থাৎ কোমল পানীয়, সোডা, চিনি মেশানো ফলের রস বা শরবত—কোনো কিছুই খাওয়া উচিত নয় রাতে। রাতের পানির চাহিদা মেটাতে উপযোগী পানীয় নয় এসব।


চা, কফি ও চকলেট মেশানো পানীয়ঃ

বিকেলের পর চা, কফি কিংবা চকলেট মেশানো পানীয় না খাওয়াই ভালো। এসব পানীয়তে থাকা ক্যাফেইনের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এ ধরনের পানীয় খেলে রাতে প্রস্রাবও বেশি হতে পারে। তবে কিছু ভেষজ চা ঘুমের জন্য সহায়ক হতে পারে। যেমন ক্যামোমিল চা, অশ্বগন্ধা চা প্রভৃতি খাওয়া যেতে পারে সন্ধ্যায়।


যেকোনো তরলের বেলায় খেয়াল রাখুনঃ

শোয়ার ঠিক আগমুহূর্তে পানি খেতে নেই। বরং শোয়ার অন্তত এক-দেড় ঘণ্টা আগে পানি খাওয়া উচিত। রাতের খাবার খাওয়ার এক-আধ ঘণ্টা পর পানি খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো।

রাতে খুব বেশি পরিমাণে পানি না খাওয়াই ভালো। তাতে ঘুমের মাঝে বারবার প্রস্রাবের চাপ হতে পারে। এসব নিয়ম অন্যান্য তরল খাবারের জন্যও প্রযোজ্য।

-সংগৃহীত ।

11/11/2025

ইনডোর প্ল্যান্টের যত উপকারিতা



যেসব গাছ ঘরে রাখলে বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয় না, মূলত সেগুলো ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই গাছগুলো কেবল ঘরের সৌন্দর্যই বাড়ায় না বরং স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।

আসুন দেখি ইনডোর প্ল্যান্ট আমাদের কীভাবে উপকার করে-

বিশুদ্ধ বাতাসের অন্যতম উৎসঃ

নাসার গবেষণায় দেখা গেছে, ইনডোর প্ল্যান্ট ক্ষতিকারক পদার্থ যেমন কার্বন মনোক্সাইড, ফর্মালডিহাইড, অ্যামোনিয়া, কার্বন ডাইঅক্সাইডসহ আরও অনেক কিছু দূর করে। এগুলো মূলত মাথাব্যথা, ক্লান্তি, অসুস্থতা ও অ্যালার্জির কারণ হিসেবে পরিচিত। ঘরে কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট যুক্ত করা হলে বাতাসের গুণমান বাড়বে এবং বাতাস আরও পরিষ্কার হবে।

মানসিক চাপ কমায়ঃ

সবুজ রং দেহ ও মনে প্রশান্তি আনে। চারপাশে গাছপালা এক ধরনের মানসিক শান্তি আনে। তাছাড়া মনের চাপ কমাতে, রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ইনডোর প্ল্যান্ট।

গৃহসজ্জায়ঃ

যদি গৃহের একঘেয়েমি সাজসজ্জা দূর করতে চান, সেক্ষেত্রে ইনডোর প্ল্যান্টের জুড়ি মেলা ভার। কারণ ইনডোর প্ল্যান্টের রং আর আকারে রয়েছে বৈচিত্র্য। বইয়ের শেলফের এক কোণায় ছোট ক্যাকটাস কিংবা ঘরের কোনো ছোট অংশ ফাঁকা লাগলে বড় সাইজের একটা পামগাছ ঘরের সৌন্দর্যই বদলে দেবে।

অর্থ সাশ্রয় করে যেভাবেঃ

গাছপালা আপনার অর্থের একটি ছোট অংশ বাঁচাতে পারে। সাজসজ্জার বাইরেও ব্যবহারিকতা আছে এমন প্রচুর উদ্ভিদ রয়েছে। যেমন -  রোদে পোড়া ও চুলের যত্নে ঘৃতকুমারী, রান্নার জন্য অরিগ্যানো, মশা তাড়ানোর জন্য সিট্রোনেলা, খাওয়ার জন্য টম্যাটো ইত্যাদি। এয়ার ফ্রেশনারের বদলে ল্যাভেন্ডার, রোজমেরি বা পুদিনা লাগাতে পারেন।

10/11/2025

জানুন লিভার সুস্থ্য রাখতে করনীয়


বর্তমান সময়ে আলোচিত একটি বিষয় লিভার ডিটক্স। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে হাটবাজার—আজকাল লিভার ডিটক্স বা যকৃৎ পরিষ্কার করে এমন পণ্যের বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। লিভার ডিটক্সিফিকেশনে এসব পণ্য কি আসলেই জরুরি?

লিভার যেভাবে কাজ করে

লিভারের প্রধান কাজগুলোর মধ্যে একটি হলো শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ (যেমন ওষুধ, অ্যালকোহল এবং পরিবেশগত দূষণকারী উপাদান) ছেঁকে বের করে দেওয়া।

লিভারের এই কাজের জন্য বাইরে থেকে কোনো বিশেষ ডিটক্স ডায়েট বা সাপ্লিমেন্ট খুব বেশি প্রয়োজন হয় না। কারণ, লিভার নিজেই একটি অসাধারণ ডিটক্সিফিকেশন সিস্টেম বা শরীরের জন্য অপ্রয়োজনীয় পদার্থ অপসারণ করার প্রক্রিয়া।

ডিটক্স পণ্য কী করেঃ

আদিকাল থেকেই লিভার ভালো রাখতে নানা রকম প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন খাবার ও মসলা ব্যবহার করা হয়। যেমন হলুদের রস বা নির্যাসে কারকিউমিন নামক একধরনের উপাদান থাকে যা লিভারের প্রদাহ ও ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

তবে তা সামান্য পরিমাণ প্রয়োজন হয়। সাপ্লিমেন্ট হিসেবে অতিরিক্ত হলুদ গ্রহণ করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যেমন বমি ভাব, বমি, পেটব্যথা, পাতলা পায়খানা এমনকি কিডনিতে পাথর এবং লিভারেরও ক্ষতি হতে পারে।

তাই ডিটক্স হিসেবে হলুদ গ্রহণ করলেও খুব অল্প পরিমাণ মাঝেমধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।

উদ্ভিদ মিল্ক থিসল অনেক সময় লিভারের প্রদাহ কমায়। আদা, রসুন, গ্রিন টিতে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকায় এগুলো লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়। আবার বিটরুটে প্রচুর আয়রন ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকায় এটি রক্তশূন্যতা কমায় এবং ত্বক ভালো রাখতে ভালো কাজ করে। বিটরুটের আঁশ হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হতে সাহায্য করে। এর মধ্যে বিটালেইন নামক একধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে যা লিভারের ডিটক্সিফিকেশনের জন্য এনজাইমকে উদ্দীপিত করে, ফলে লিভার ভালো থাকে।


লিভার সুস্থ রাখতে কী করা উচিত?

লিভার ভালো রাখতে জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। লিভারের কার্যক্ষমতা কমার সবচেয়ে বড় কারণ হলো ফ্যাটি লিভার বা লিভারে চর্বি জমা, যা শরীরের অতিরিক্ত ওজনের কারণে হয়।

লিভার ডিটক্সের নামে বিভিন্ন জুস, সাপ্লিমেন্ট বা বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করার চেয়ে কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা অনেক বেশি কার্যকর।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ প্রচুর ফল, সবজি, শস্য ও স্বাস্থ্যকর চর্বি ওেবং যেসব খাবরে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও ওমেগা-৩ আছে, সেগুলো নিয়মিত খাওয়া দরকার। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি ও অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।

অ্যালকোহল পরিহারঃ অতিরিক্ত অ্যালকোহল লিভারের জন্য ক্ষতিকর। তাই অ্যালকোহল পরিহার করা ভালো।

নিয়মিত ব্যায়ামঃ ব্যায়াম লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম শরীরকে ভালো রাখে।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ স্থূলতা লিভারের ক্ষতি করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিভার সুস্থ রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। যদি লিভারের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো উদ্বেগ থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

-সংগৃহীত ।

09/11/2025

আল্ট্রাসনোগ্রাম কখন করবেন? প্রেগনেন্সির শুরুতে নাকি ডেলিভারির আগ মুহূর্তে?


প্রেগনেন্সি টেস্ট পজেটিভ আসার পর থেকেই হবু মায়ের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। তার নিজস্ব সুস্থতার পাশাপাশি গর্ভস্থ শিশুর সুস্থতা ও সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করার দায়িত্বও তার ওপর চলে আসে। তাই প্রেগনেন্সির শুরু থেকেই মা হওয়ার প্রস্তুতি নেয়া উচিত।

 

প্রেগনেন্সির প্রথম তিন মাসে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে, যেমন:

👉 ইকটপিক প্রেগনেন্সি (জরায়ুর বাইরে ভ্রুণের অবস্থান),

👉 ব্লাইটেড ওভাম,

👉 মোলার প্রেগনেন্সি,

👉 মিসড এবরশন ইত্যাদি।


এ ছাড়া আরও নানা জটিলতা হতে পারে। তাই শুরু থেকেই যতটা সম্ভব সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।


পিরিয়ড মিস হওয়ার দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। সেই সঙ্গে একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো খুবই প্রয়োজনীয়। অনেকের মনে হতে পারে, প্রেগনেন্সির শেষদিকে বা ডেলিভারির আগে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলেই হবে। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। প্রথম তিন মাসে যদি সঠিক সময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা না হয়, তবে নানা ধরনের জটিলতা নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

 

প্রেগনেন্সির প্রথম তিন মাসের মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার মাধ্যমে যে সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় তা হলোঃ

👉 গর্ভাবস্থা নিশ্চিতকরণ (কনসেপশন),

👉 গর্ভস্থ শিশুর অবস্থান (জরায়ুর মধ্যে ঠিকভাবে সংস্থাপিত হয়েছে কিনা),

👉 ভ্রুণ ও হার্টবিটের উপস্থিতি,

👉 ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ।

এই সব তথ্য মায়ের এবং ভ্রুণের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 


সুতরাং, প্রেগনেন্সির শুরু থেকেই সঠিক সময়ে ডাক্তারকে দেখানো এবং আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো অপরিহার্য। পিরিয়ড মিস হওয়ার দুই মাসের মধ্যে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করিয়ে নিজের ও গর্ভস্থ শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করুন।

-সংগৃহীত ।


08/11/2025

শাটডাউনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ চলাচলে বিপর্যয়


কেন্দ্রীয় সরকার আংশিক শাটডাউনের (অচলাবস্থা) মুখে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ চলাচল পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সরকারি কর্মী–সংকটের কারণে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো কমপক্ষে ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল করলে এ বিপর্যয় দেখা দেয়।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় বিবিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আসা, যাওয়া এবং দেশের অভ্যন্তরে মোট ১ হাজার ২৩৮টি ফ্লাইট এ পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছে। এ ছাড়া ৮২৪টি ফ্লাইট পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে।

শিকাগোর ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৫৭টি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। জর্জিয়ার হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৮টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এ ছাড়া ৩০টি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।

কয়েক দফা চেষ্টার পরও সিনেটে ব্যয় বিল পাসে ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার শাটডাউনে পড়েছে। বেতন না হওয়ায় বিমানবন্দরগুলোতে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের মতো কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ আবার অসুস্থতার কারণে কাজে যোগ দিতে পারছেন না।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, কর্মী–সংকটের কারণে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ৪ শতাংশ থেকে কমানো শুরু হবে। পরবর্তী সপ্তাহের শেষ নাগাদ পুরোপুরি ১০ শতাংশ কমানো হবে। এতে প্রতিদিন ৪ হাজারের মতো ফ্লাইট বাতিল কিংবা বিলম্বিত হতে পারে।

ডেমোক্র্যাটরা ব্যয় বিলে স্বাস্থ্যসেবা খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে। বিপরীতে রিপাবলিকানরা শুধুই একটি ব্যয় বিলের জন্য চাপ দিচ্ছে। উভয়পক্ষ একমত না হওয়ায় সিনেটে কয়েক দফা ভোটাভুটির পরও বিলটি পাস হয়নি। ১০০ আসনের সিনেটে বিলটি পাস হতে ৬০টি ভোটের প্রয়োজন। সিনেটে রিপাবলিকান পার্টির ভোট ৫৩টি।

ডেমোক্র্যাটরা শুরু থেকেই রিপাবলিকানদের ব্যয় বিলের প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে। কারণ, এই প্রস্তাব পাস হলে নিম্ন আয়ের মার্কিনদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা আরও সংকুচিত হয়ে পড়বে। রিপাবলিকানরা বারবার অভিযোগ করেছে, অবৈধ অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে ডেমোক্র্যাটরা সরকার অচল করে দিয়েছে।


কখন সরকার শাটডাউনের কবলে পড়েঃ

যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ সরকারি সংস্থার জন্য প্রতিবছর ব্যয়-সংক্রান্ত বিস্তারিত আইন তৈরি করে কংগ্রেস। তবে ১ অক্টোবর অর্থবছর শুরু হওয়ার আগে বেশির ভাগ সময় তারা এই কাজ শেষ করতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত অস্থায়ী ব্যয় বিল পাস করেন আইনপ্রণেতারা, যাতে কয়েক সপ্তাহ বা মাসের জন্য সরকার সচল থাকে এবং তাঁরা আইনটি তৈরির কাজ শেষ করতে পারেন।

অস্থায়ী ব্যয় বিল কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পাস হলেও সিনেটে তা আটকে যায়। বিল পাসের সময় ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত ব্যয় বিল পাস না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার আংশিক শাটডাউনে পড়েছে। এর অর্থ হলো, কেন্দ্রীয় সরকারের ১৪ লাখ কর্মী হয় বিনা বেতনে ছুটিতে যাবেন কিংবা বিনা বেতনে কাজ করবেন। এর ফলে সরকারের কিছু পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।

-সংগৃহীত ।


আপনার কি ঘন ঘন জ্বর হচ্ছে?

ঘন ঘন বা বারবার জ্বর হওয়া অবশ্যই দুশ্চিন্তার বিষয়। এর পেছনে থাকতে পারে কিছু কারণ। জেনে নিন এসব ক্ষেত্রে কী করতে হবে।

১. কোনো সংক্রমণ বা ইনফেকশন পুরোপুরি সেরে না গেলে বারবার জ্বর আসতে পারে। যেমন প্রস্রাবে সংক্রমণ সুনির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক যথাযথভাবে সেবন না করলে আবার হতে পারে।

২. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে বারবার নানা ধরনের জীবাণু আক্রমণ করে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বা দীর্ঘ মেয়াদে স্টেরয়েড, কেমোথেরাপি বা ইমিউনোথেরাপি নিচ্ছেন—এমন রোগীর ঝুঁকি এ ক্ষেত্রে বেশি।

৩. কোনো কোনো সংক্রমণ দীর্ঘদিন ধরে থাকে। ঠিকমতো শনাক্ত না হওয়ার কারণে সহজে সারতে চায় না। যেমন ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, গোদরোগ, যক্ষ্মা, ছত্রাকের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ।

৪. কখনো কখনো সংক্রমণ ছাড়াও বারবার জ্বর হয়। এসব বেশ বিরল রোগ। যেমন অটোইমিউন ডিজিজ, ক্যানসার।

৫. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও জ্বর হতে পারে।

৬. সাইনাসের ইনফেকশন (সাইনুসাইটিস), কানের ইনফেকশন বা দাঁতের ব্যথার মতো উপসর্গ নিয়ে বারবারই জ্বর হতে পারে।


কী করবেন?

জ্বরের প্রকৃত ইতিহাস জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল করতে হবে।


১. ঠিক কত দিন ধরে রোগী জ্বরে ভুগছেন?

২. দিনের কোন কোন সময়ে জ্বর আসে? জ্বরের মাত্রা কেমন ছিল? জ্বরের সঙ্গে আর কোনো উপসর্গ ছিল?

৩. সর্দি, কাশি বা কাশির সঙ্গে রক্তপাত, শ্বাসকষ্ট আছে?

৪. জ্বর ছাড়ার সময় শরীর ঘামে ভিজে যায়? প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া আছে?

৫. প্রস্রাবের রং, পেটব্যথা, পেট খারাপ বা কোষ্ঠকাঠিন্য আছে কি?

৬. অস্থিসন্ধির ব্যথা, মাথাব্যথা, কানব্যথা, দাঁতব্যথাসহ আনুষঙ্গিক আর কী কী উপসর্গ আছে?

৭. জ্বর আসার নিকট অতীতে কোথাও বেড়াতে গিয়ে বা বাইরে কিছু খাওয়া হয়েছে কি?

৮. জ্বরের সঙ্গে ওজন কমে গেছে? রোদে গেলে শরীরে ব্যথা হচ্ছে?

৯. চোখব্যথা বা চোখ লাল হয়েছে? সাদা স্রাব হচ্ছে? বাড়ির অন্য কেউ একই রকম জ্বরে ভুগেছেন কি?

১০. রোগী সম্প্রতি রক্ত নিয়েছিলেন কি?


জ্বর হলে বিশ্রাম নিন

যাঁরা খামারে কাজ করেন, কৃষি কাজ করেন, তাঁদের বিশেষ ধরনের কিছু জ্বর হয়। আবার একাধিক শারীরিক সম্পর্ক থাকলে বা মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা একই সুচ ব্যবহার করলে হতে পারে এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণ। মাথায় উকুন হলে বা বাড়িতে ইঁদুর থাকলে দূর করতে হবে। বাড়িতে জ্বর মেপে একটা কাগজে লিখে রাখুন। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। দিনে দেড় থেকে দুই লিটার পানি খান, বিশ্রাম নিন। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জ্বরের কারণ শনাক্ত করতে হবে।

-সংগৃহীত ।


সিজার পরবর্তী সময়ে নরমাল ডেলিভারি, কখন সম্ভব?

আমাদের দেশে অনেকেরই ধারণা একবার সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি হলে পরবর্তী প্রতিটি প্রেগনেন্সিতে সিজার করার দরকার হয়। ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব অবস...